সারীফা রিমু : সিলেট নগরীতে লাগামহীন রিকশা ভাড়ার রাশ টানতে সিটি করপোরেশন (সিসিক) দূরত্ব ভেদে ভাড়া নির্ধারণ করে দিলেও গত আট মাসেও তা কার্যকর হয়নি। এ অবস্থায় গত ২০ মে থেকে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে ভাড়ার তালিকা সংবলিত সাইনবোর্ড সাঁটানোর কাজ শুরু করেছে সিসিক। ইতোমধ্যে ১১ দিন পেরিয়ে গেছে, কিন্তু রিকশা চালকরা এখনও তাদের মর্জি মতো ভাড়া আদায় করছেন যাত্রীদের কাছ থেকে।
রিকশাচালকরা বলেছেন, সিসিকের তালিকা অনুযায়ী ভাড়া নেওয়া হলে পরিবার-পরিজন নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে। আর সাধারণ যাত্রীরা বলেছেন, সিসিকের নির্ধারণ করা ভাড়ার তালিকায় যাত্রীদের স্বার্থরক্ষা হয়নি। ভাড়ার পরিমাণ বেশি ধরা হয়েছে। এরপরও নির্ধারিত ভাড়া কার্যকরের উদ্যোগ না থাকায় ক্ষোভ জানিয়েছেন তারা।
সিসিক সূত্র জানায়, সিলেট নগরীতে রিকশা ভাড়া নিয়ে এক ধরণের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তাই রিকশা ভাড়া নির্ধারণ করে দিতে সিসিক কর্তৃপক্ষের কাছে দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছিলেন সাধারণ যাত্রীরা। নগরবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিকে সিলেট সিটি করপোরেশন রিকশা ভাড়া নির্ধারণের জন্য একটি কমিটি গঠন করে। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে এই কমিটির সদস্যরা কাউন্সিলর, রিকশাচালক, মালিক ও যাত্রীদের মতামতের ভিত্তিতে রিকশা ভাড়ার নতুন তালিকা নির্ধারণ করেন।
রিকশা ভাড়ার তালিকায় প্রতি কিলোমিটার ১০ টাকা, প্রতি ঘণ্টা ৫০ টাকা রিকশা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়।
এ বিষয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব বলেন, রিকশা ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য দূর করতে আমরা একটা তালিকা দিয়েছি। এখন পাবলিক আর চালকরা মিলে সেই অনুযায়ী ভাড়া আদান-প্রদান করবেন। এটা তদারকির কোনো উদ্যোগ সিসিকের নেই।
সকালের খবর থেকে নেয়া