কুমিল্লা প্রতিনিধি : সোহাগী জাহান তনুর ময়নাতদন্তের ্িবষয়ে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির দেওয়া উকিল নোটিশের জবাব দিয়েছেন তিন চিকিৎসক। বুধবার দুপুরে আইনজীবীর মাধ্যমে নোটিশের জবাব দেন তারা।
এই তিন চিকিৎসক হলেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মহসিন উজ জামান চৌধুরী, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক কামদা প্রসাদ সাহা এবং তনুর লাশের প্রথম ময়নাতদন্তকারী একই বিভাগের প্রভাষক শারমিন সুলতানা।
বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক সালমা আলী ১৯ মে মহসিন উজ জামান চৌধুরী, কামদা প্রসাদ সাহা ও শারমিন সুলতানাকে উকিল নোটিশ দেন। এতে প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দেওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হয়। নোটিশ প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে এর জবাব দেওয়ার জন্য বলা হয়। গতকাল ওই নোটিশের জবাব দেওয়া হয়।
জানতে চাইলে কামদা প্রসাদ সাহা বলেন, প্রথম ময়নাতদন্তের সঙ্গে কলেজের অধ্যক্ষ এবং আমি জড়িত ছিলাম না। অধ্যক্ষ ময়নাতদন্তের কোনো অংশের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকেন না। আমি নিজেও প্রথম ময়নাতদন্তের সঙ্গে জড়িত নই। উকিল নোটিশে যেসব প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়েছে, তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রথম ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক শারমিন সুলতানা। উকিল নোটিশের প্রত্যেকটি অনুচ্ছেদের জবাব দেওয়া হয়েছে। এর বেশি কিছু বলব না।’
কলেজের অধ্যক্ষ মহসিন উজ জামান চৌধুরী বলেন, ‘ময়নাতদন্তের সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। আমার বক্তব্য সেভাবেই উপস্থাপন করা হয়েছে।’
গত ২০ মার্চ তনুর লাশ কুমিল্লার ময়নামতি সেনানিবাসের পাওয়ার হাউসের অদূরের কালভার্টের পাশে ঝোপ থেকে উদ্ধার করা হয়।