আনাস ভূঁইয়া : সিনেমা হলে যাওয়ার সামর্থ্য না থাকলেও সিনেমা দেখা থেকে বঞ্চিত থাকতে চান না অনেকেই। এই জন্য অনেকে অনেক পদক্ষেপ নিয়ে থাকেন। তেমনি ভারতের দিন মজুর ও শ্রমিকরাও নিজেদের বিনোদরে জন্য তৈরি করে নিয়েছেন ক্ষুদ্র সিনেমা হল।
সিনেমা হলে যাওয়ার মত তাদের সামর্থ না থাকলেও চলচ্চিত্র দেখার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হননি কেউই। সিনেমা দেখার স্বাদ মেটাতে স্বল্প আয়ের মানুষগুলো নিজ উদ্যোগে তৈরি করেছেন ক্ষুদ্র সিনেমা হল। মাত্র ১০ রূপির বিনিময়ে প্রতিদিন ৪টি ছবি দেখার সুযোগ মেলে এখানে।
বৈচিত্র্যময় ভাষা, জাতীগোষ্ঠী ও ধর্মবর্ণের শহর ভারতের রাজধানী দিল্লি। তিন হাজার বছরের পুরনো এই নগরীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত সেতুটিও প্রাচীন নিদর্শনের উদাহরণ। যমুনা নদীর তীর ঘেঁষা ১৪০ বছর বয়সী ব্রিটিশ আমলের এই সেতুটির নিচে রিক্সা চালক ও শ্রমিদের খাওয়া-দাওয়া ও বিশ্রামের ব্যবস্থা করেছে সেখানকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
বিকেল গড়াতেই শ্রমিকরা বিভিন্ন যায়গা থেকে এসে এখানে ভিড় করেন। তবে তাদের আগ্রহের কেন্দ্রজুড়ে রয়েছে পর্দা ঘেরা একটি স্থান। যার ভিতরে গেলেই চোখে পড়বে শ্রমিকরা বিশ্রাম করছে তাদের সামনে চলছে মুম্বাই ছবি। পর্দা দিয়ে চার দিক ঢেকে রাখার কারণে এখানে বাইরের শব্দ যেমন পৌছায় না তেমনি অন্ধকারের কারণে সেখানে প্রেক্ষাগৃহের আবহ তৈরি হয়।
শুধু বিনোদন নয় অনেক ধরণের অসামাজিক কাজ থেকে কাজ থেকে দুরে রাখে চলচ্চিত্র বলে মত শ্রমিকদের। তাদেরকে এসম্পর্কে জিজ্ঞাস করলে তাদের একজন বলেন, কাজ শেষে অনেকে সিগারেট, জুয়া, মদসহ নানা মাদকের নেশা করে আর আমরা এখানে থাকার কারণে আমরা এমন নেশা থেকে দুরে থাকেতে পারছি।