কায়কোবাদ মিলন: লিবিয়ায় আইএস’এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে বৃটিশ স্পেশাল ফোর্স বলিউডের মিউজিককে ‘অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার শুরু করেছে। মানসিক ভাবে আইএসকে দুর্বল করতে এই অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এক বৃটিশ অফিসারের পরামর্শে এই কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে।ওই অফিসারের পরামর্শ ছিল,আইএস সংগীতকে অনৈসলামিক মনে করে।তারা বিষয়টিকে অপমানজনক মনে করে। সিরটে নামক স্থানে বৃটিশ লিবিয়ার সৈন্যরা দুটি ট্রাকে বলিউডের গান জোরে জোরে বাজাচ্ছে। এরফলে আইএস জঙ্গিরা বিরক্ত হয়ে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে এমন ঘটনাও ঘটছে। সূত্র: এনডিটিভি।
ডেইলি মিরর একটি সূত্রের বরাত দিয়ে জানায়,জঙ্গিদের শক্তিহীন করতে গান বাজিয়ে ভাল ফল পাওয়া যাচ্ছে। যৌথ বিশেষ অপারেশনস কমান্ডের আওতায় বৃটিশ বাহিনী লিবিয়ার বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। উদ্দেশ্য হল, সিরটে শহর থেকে কি করে আইএসকে উৎখাত করা যায়।
গান দিয়ে এই মনস্তাত্বিক যুদ্ধে আইএস’এর যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে । বলিউডের গান আইএস’এর দৃষ্টিতে শরীয়া আইনের পরিপন্থী। সিরটে এলাকায় আইএস শরীয়া আইন চালু করেছে। ফলে এই এলাকায় পশ্চিমা সংস্কৃতি কিম্বা তাদের দৃষ্টিতে অসার বিষয়াদি নিষিদ্ধ। আর এর ব্যতিক্রম আইএসকে স্বভাবতই ক্রোধান্বিত করে। মিরর পত্রিকা লিখেছে, আইএস তাদের এলাকায় বলিউডের হিন্দি গান বাজানোকে তাদের জন্য সাংঘাতিক অপমানজনক মনে করে।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, হিন্দি গান জঙ্গিদের খুবই ক্ষুব্ধ করে চলেছে। তারা লুকিয়ে থাকা অবস্থান থেকে বেরিয়ে আসছে বিশেষ করে তাদের সঠিক অবস্থান প্রতিপক্ষের সৈন্যরা অবগত হতে পারছে। মোটকথা সঙ্গীতকে ব্যবহার করে ভাল ফল পাওয়া যাচ্ছে। বৃটিশ বিশেষ বাহিনী অবশ্য এই এলাকায় যুদ্ধে লিপ্ত নয়। তাদের কাজ হল আইএসকে নির্মূলে লিবিয়ার বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া।