মাহবুব মনি: ডেমরায় ১৪ বছরের এক কিশোরী গৃহকর্মী বিয়ের প্রলোভনে পড়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় ধর্ষক মো. খোরশেদ আলমকে (২৬) আটক করেছে থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। খোরশেদ আলম চট্রগ্রামের সীতাকুন্ডু থানার পূর্ব আমিরাবাদ গ্রামের মৃত আবু তাহেরের ছেলে। সে ডেমরার কোনাপাড়া ধার্মিকপাড়া এলাকায় একটি লেসফিতা কারাখানায় কর্মরত শ্রমিক ছিল।
ধর্ষিতার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গত ৩ বছর আগে চাঁদপুর থেকে ধর্ষিতাকে ডেমরার বাশেরপুল এলাকার হুমায়ূন কবিরের বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে নিয়ে আসা হয়। হুমায়ূন কবিরের বাসার দক্ষিনে মো. মঈনুদ্দীন মোহনের লেস ফিতার কারখানায় কাজ করত ধর্ষক। গৃহকর্মী কাজের উদ্দেশ্যে প্রতিদিন বাসার নীচে নামলে এক পর্যায়ে ধর্ষকের সঙ্গে আলাপ পরিচয় হয়।
পুলিশ আরও জানায়, গত ২৬ এপ্রিল উক্ত কারখানাটি স্থানান্তর হয় ধার্মিকপাড়ায়। এতে তাদের মধ্যে দেখা সাক্ষাৎ প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। পরে গত ৩০ মে ধর্ষক ধর্ষিতাকে বিয়ে করে তার মায়ের কাছে নিয়ে যাবে বলে প্রলোভন দেখায়। এতে রাজি হয়ে ধর্ষিতা খোরশেদের সঙ্গে ঐ দিন রাতে পালিয়ে যায়। এদিকে খোরশেদ গৃহকর্মীকে নিয়ে ডগাইর এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে ৩ ঘন্টা আটকে রেখে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে রাতে ধর্ষিতাকে ইষ্টার্ন হাউজিং সাত্তার জামে মসজিদ সংলগ্ন রাস্তায় ফেলে চলে যায়।
এ বিষয়ে ডেমরা থানার ওসি এসএম কাওসার বলেন, আমরা গত ১ জুন একটি ধর্ষণ মামলা নিয়েছি। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসার জন্য রাতে ধর্ষিতাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি। পাশাপাশি ধর্ষক খোরশেদ আলমকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণও করা হয়েছে।