আমির পারভেজ : যুক্তরাষ্ট্রের এক বিশ্ববিদ্যালয়ে বুধবার বন্দুক হামলায় একজন প্রফেসারসহ দু’জন নিহত হয়েছেন। পুলিশের ধারণা, বাইরের কেউ এ হামলা চালায়নি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
যুক্তরাষ্টে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রায়ই এ ধরনের বন্দুক হামলার খবর শোনা যায়। গত মার্চে অরিজোনা এবং টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্দুক হামলায় দুই ছাত্র নিহত এবং আরো তিনজন আহত হয়েছিল। এর আগে গতবছর অক্টোবরে ওরেগন অঙ্গরাজ্যের আমপকুয়া কমিউনিটি কলেজে প্রকাশ্য বন্দুক হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছিল।
সিএনএন বলছে, বুধবার ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলেস (ইউসিএলএ) ক্যাম্পাসে ওই বন্দুক হামলার ঘটনাটি ঘটে। বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টা নাগাদ হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ ও এফবি আই। গোলাগুলির ঘটনাটি ঘটেছিল ইউসিএলএ’র প্রকৌশল ভবনের অফিসকক্ষে। সেখান থেকে দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদের একজন হচ্ছেন, অধ্যাপক উইলিয়াম এস ক্লুগ। তিনি ছিলেন একজন প্রযুক্তি ও মহাকাশ প্রকৌশলী। তিনি ওই বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে কাজ করতেন। নিহত আর একজনের পরিচয় জানা যায়নি। তাকে বন্দুক হামলাকারী হিসেবে সন্দেহ করছে পুলিশ।
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার এই ক্যাম্পাসটিতে প্রায় ৪৫ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছেন। হামলার খবর পেয়ে ক্যাম্পাসটি বন্ধ করে দেয় পুলিশ। বুধবারের সকল ক্লাসও স্থগিত হয়ে যায়। তবে বৃহস্পতিবার থেকে পুনরায় ক্লাস চালু হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইউসিএলএ বিশ্ববিদ্যালয়টি ইন্টারনেটের সূতিকাগার হিসেবে পরিচিত। এখানকার ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলের বোয়েলটার হল থেকেই ১৯৬৯ সালে ট্রান্সমিশন সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছিল। এটিই ছিল বিশ্বের প্রথম ইন্টারনেট ব্যবস্থা।
সূত্র : সিএনএন।