নাজনীন পলাশী : একজন বাংলাদেশি নির্মাণ শ্রমিক দাবি করেছে তার মালিক তাকে তালাবন্ধ করে আটকে রেখেছে। তিনি আরো দাবি করেন কর্মস্থলে আঘাত পাওয়ার পর তার চিকিৎসার কথা বললে তার মালিক তাকে দেশে ফেরত পাঠানোর হুমকি দেয়। জনশক্তি মন্ত্রণালয় এই বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে যে তার দাবিটি সঠিক কিনা।
অভিবাসি কর্মী এডভোকেসি গ্রুপ ট্রানজিয়েন্ট ওয়ার্কার্স কাউন্ট টু (টিডাব্লিউসিটু) গত বুধবার অসংখ্যবার শেয়ার হওয়া পোষ্টটিতে লিখেছে, গত বৃহস্পতিবার মোল্লা সাহজাহানকে তুয়াস ডরমিটরি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সংস্থাটি জানায়, ২৯ বছর বয়সের সাহাজাহান তাদের কাছে সাহায্য চান এবং বলেন তার মালিক তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে আটকে রেখেছে এবং পরদিন তাকে দেশে পাঠিয়ে দিবে।
কিন্তু সাহজাহানের মালিক তার বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বরং তিনি দাবি করেছে সাহজাহানের আঘাত গুরুতর ছিলনা এবং সে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পরামর্শ না করেই চিকিৎসা চায়।
এদিকে, সাহাজাহান জানায়, মে মাসের ২৫ তারিখে টাইলস বহন করার সময় তার আঙ্গুলে ব্যথা লাগে। এর কারণে আঙ্গুল ফুলে যায় এছাড়া তিনি পিঠেও ব্যথা পান। তিনি আরও বলেন, তার মালিককে তিনি অসুস্থতার বিষয়টি জানান এবং পরেরদিন তাকে মালিক একটি ক্লিনিকে পাঠায়। তিনি সেখানে একদিন থাকেন এবং আঙ্গুলের চিকিৎসা নেন। কিন্তু তিনি এটাও জানান ‘আমার পিঠে এখনও যন্ত্রণা আছে যার ফলে আমি ঠিকমত হাঁটতে এবং ঘুমাতে পারছিনা।’
জুনের ৪ তারিখ মোল্লা আলেকজান্দ্রা হাসপাতালে যান পিঠের চিকিৎসার জন্য। তিনি সেখানে তিনদিন থাকেন এবং তাকে হাসপাতাল থেকে ১৮ দিন বিশ্রামে থাকতে বলা হয়। তাকে তিনদিন পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয় এবং তিনি যখন হাসপাতাল থেকে বের হয়ে বাসার উদ্দেশে রওনা দেন তখন দুইব্যক্তি তাকে ধরে তুয়াস ডরমেটরিতে নিয়ে আটকে রাখে।
জনশক্তি মন্ত্রণালয়ের এক মূখপাত্র বলেন, মন্ত্রণালয় সাজাহান মোল্লার অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখছে। তিনি আরও বলেন, নিয়োগকর্তার কোন শ্রমিককে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়ার অনুমতি নেই। এসব ক্ষেত্রে নিয়োগ কর্তা বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করবে এবং ইমিগ্রেশন থেকে জনশক্তি মন্ত্রণালয়ের কাছে বিষয়টি রেফার করবে।
যতদিন এই বিষয়টির তদন্ত চলবে ততদিন মোল্লা সাহাজাহান (টিডাব্লিউসিটু) এর আশ্রয়ে থাকবেন। সংস্থাটি মোল্লার এই মামলাটি পরিচালনা করবে বলেও (টিডাব্লিউসিটু) এর ট্রেজারার অ্যালেক্স এইউ বলেন।