বিশ্বনাথ সংবাদদাতা : বিশ্বনাথে পুলিশে চাকুরি দেওয়ার কথা বলে ৬ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও প্রায় এক মাসেও মামলা নেয়নি পুলিশ।
জানা গেছে, বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের মুফতিরবাজারের পল্লী চিকি”সক ও ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার হামির্দি পুর্বপাড়া গ্রামের মো. কামরুজ্জামানের ভাগনে পুলিশে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের তবলপুর গ্রামের ছুনু মিয়ার পুত্র রইছ আলী ৬ লাখ টাকা নেন। ২০১৫ সালের ২০ নভেম্বর স্ট্যাম্পের মাধ্যমে এই টাকা গ্রহন করেন রইছ আলী। ঐ চুক্তিনামায় স্বাক্ষী হিসেবে রয়েছেন তবলপুর গ্রামের মুক্তিযুদ্ধা ছৈইফ উল্লাহ, মুক্তিযুদ্ধা আলকাছ আলীসহ অনেকেই। চুক্তিনামা অনুযায়ী পুলিশে চাকুরী দিতে ব্যর্থ হওয়ায় রইছ আলী গত ১২ এপ্রিল ৬ লাখ টাকার মধ্যে ২লাখ ৪০ হাজার টাকা ফেরত দেন এবং বাকী টাকা ফেরত দিতে এক সপ্তাহের সময় চেয়ে নেন। কামরুজ্জামান পরবর্তীতে রইছ আলীর কাছে টাকা চাইলে সে উত্তিজিত হয়ে অশ্লীল ভাষায় গালি গালাজ করে। এবিষয়ে গত ১১ মে রইছ আলীকে অভিযুক্ত করে বিশ্বনাথ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন কামরুজ্জামান। থানা পুলিশ অভিযোগটি আমলে না নেওয়ায় পুলিশের সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মিজানুর রহমানের স্বরনাপন্ন হন কামরুজ্জামান। তখন বিশ্বনাথ থানা পুলিশকে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য লিখিতভাবে নির্দেশ প্রদান করেন ডিআইজি। এরপর প্রায় ১ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করেনি পুলিশ এমন অভিযোগ করেছেন কামরুজ্জামান।
এদিকে বাদি কামরুজ্জামান পুলিশের শরণাপন্ন হওয়ায় তাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকিধমকি দিয়ে আসছেন অভিযুক্ত রইছ আলী। এ কারণে গত ৫ জুন বিশ্বনাথ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন কামরুজ্জামান। ডায়েরী নং ১৭২।