বিশ্বম্ভরপুর সংবাদদাতা :
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বাদঘাট দক্ষিণ ইউপির পুনর্নিবাচনে ভোট যুদ্ধে মরিয়া আওয়ামী লীগ ও জাপার দুই প্রার্থী। আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুল গণি (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী এরশাদ মিয়া (লাঙ্গল) দু’জনই পুনরায় ভোটারদের বাড়ি-বাড়ি ও গ্রাম, পাড়া-মহল্লায় যেয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন।
এ দিকে ইলেকশন কমিশন (ইসি) পুনর্নিবাচনের বিষয়ে কোন প্রকার সিদ্ধান্ত এখন নেয়নি বলে একটি সুত্র জানায়। কিন্তু সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় না থেকে ইউনিয়নের মাঠ-ঘাট চষে বেড়াচ্ছেন সমান সংখ্যক ভোট পাওয়া এ দুই প্রার্থী। ভোটারাও ভোট উৎসবের প্রতিক্ষার প্রহর গুনছেন। দোকান পাঠ সহ সর্বত্র চলছে ভোটের হিসাব নিকাশ।
৪ জুন দেশব্যপী শেষ ধাপের ভোট অনুষ্ঠিত হয়। বিচ্ছিন্ন ঘটনায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্থগিত রাখা হয় ভোট গ্রহন কাজ। কিন্তু বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বাদাঘাট দক্ষিণ ইউনিয়নে ঘটে এর ব্যতিক্রম চিত্র। ঐ দিন বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পাঁচ ইউপির ভোটগ্রহন চলছিল। ৪টি ইউনিয়নে প্রার্থী নির্বাচিত হলেও বাদাঘাট দক্ষিণ ইউপির আ’লীগ প্রার্থী আব্দুল গণি,জাপা প্রার্থী এরশাদ মিয়া প্রত্যেকেই ৪হাজার৩০ভ্টো করে সমান সংখ্যক ভোট পান। ফলে কোন প্রার্থীকেই বিজয়ী ঘোষণা করতে পারেনি নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ। তাই জেলা ও উপজেলা নির্বাচন অফিস নিশ্চিত করেছে সমান সংখ্যক ভোট পাওয়ায় দুই প্রার্থীর মধ্যে পুনর্নিবাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ ঘোষণায় উজ্জীবিত বাদাঘাট দক্ষিণ ইউপির ভোটাররা। তাই তারা ভোটের আলোচনা-সমালোচনায় পথ ঘাট মুখরিত করে তুলছেন। এদিকে আওয়ামী লীগ-জাপার এ নির্বাচনী যুদ্ধ নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে। স্থানীয় মানুষজন বলছেন সুনামগঞ্জ ৪ আসনের সাবেক সাংসদ জেলা আ’লীগ সভাপতি মতিউর রহমান ৫টির মধ্যে একটিতে জয় পেয়েছেন। এ আসনের বর্তমান সাংসদ অ্যাড ফজলুর রহমান মিছবাহ এ আসনটিতে জয় পেতে পারেন। আর এ আসনটিতে লাঙ্গল জয় পলে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার রাজনীতিতে দুই হ্যাভি ওয়েটের ওজন হবে সমান সমান।