নাসিমুজ্জামান সুমন : রমজানে ইফতারের বড় একটা অংশ জুড়েই থাকে মুখরোচক খাবার। ভোক্তারা খাবারগুলো কিনে থাকেন রেস্টুরেন্ট কিংবা ইফতার বাজার থেকে। চড়া দামে ইফতারি কিনতে হলেও খবারের মান যাচাইয়ের কোন সুযোগই থাকেনা ভোক্তাদের। এই সুযোগে বিক্রেতা খাবারে মিশিয়ে দিচ্ছে ক্ষতিকর রাসায়নিক, অস্বাস্থ্যকর উপাদান। অস্বাস্থ্যকর খাবারের ফলে ঝুঁকি বাড়ছে বিভিন্ন দুরারোগ্য রোগের।
বেলা গড়াতেই জমজমাট ইফতারের বাজার। অভিজাত হোটেল-রেস্টুরেন্ট থেকে পাড়া-মহল্লার দোকান সবখানেই রসনা প্রেমিদের ভিড়। ইফতার সামগ্রী ভাজার জন্য পোড়া তেলের ব্যবহার বেশ পুরোনো রীতি। এখন তার সঙ্গে যোগ হয়েছে ক্ষতিকারক রং এবং স্বাদবর্ধক রাসায়নিক। জিলাপির সাথে হাইড্রোস, বেগুনি, পিয়াজু, রঙ্গিন শরবতের সাথে ব্যবহার করা হচ্ছে টেক্সটাইলের রং।
অনেকেই না জেনে, আবার কেউ কেউ জেনে বুঝে, বাধ্য হয়ে খাচ্ছেন এসব খাবার। এমনকি খাবারের মান নিয়ে ভোক্তারা যথেষ্ট সচেতনও নয়। পুষ্টিবিদরা বলছেন, সারাদিন রোজা রাখার পর এসব ভেজাল খাবার স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ায়। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. দীপক কুমার পাল বলেন, ‘খাবারে ফুডগ্রেড কালার না দিয়ে নি¤œমানের রং মেশানো হচ্ছে যা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। খুব বেশিদিন যদি এগুলো খাওয়া হয় তহলে তার লিভার, কিডনী এবং শরীর অন্যান্য প্রধান অংশগুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এমনকি ক্যান্সারের মত দুরারোগ্য ব্যাধিতেও আক্রান্ত হতে পারে।’
সংশ্লিষ্টদের মতে, ভেজাল খাবার কেনা বন্ধে ভোক্তার সচেতনতাই সবচেয়ে বেশি জরুরি। এ জন্য রেস্টুরেন্টের বাহারি নাম বা স্বাদের আকর্ষণ বর্জন করা বাধ্যতামূলক।
সূত্র: যমুনা টিভি।