আমিন ইকবাল : কুরআন নাযিলের মাস রমজান। রমজানে কুরআন তেলাওয়াতের অনেক সওয়াব রয়েছে। নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি কুরআনের একটি হরফ তেলাওয়াত করবেÑ তার জন্য একটি নেকি বা সওয়াব রয়েছে। আর প্রত্যেকটি নেকি দশগুণ বৃদ্ধি পাবে। নবীজি সা. আরও বলেন, আমি একথা বলি না যে, ‘আলিম-লাম-মীম’ (তিনটি একত্রে) একটি হরফ। বরং ‘আলিম’ একটি হরফ, ‘লাম’ একটি হরফ, ‘মীম’ একটি হরফ। আর কুরআন তেলাওয়াত যখন রমজান মাসে হয় তখন এর সওয়াব ৭০ গুণ বৃদ্ধি হয়। কারণ, রমজানে প্রতিটি ভালো আমলের ৭০ গুণ বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। দৈনিক আমাদের অর্থনীতি ও আমাদের সময় ডটকম আয়োজিত রমজানবিষয়ক বিশেষ আয়োজন ‘আমাদের রমজান’-এ এসব কথা বলেন, রাজধানী ঢাকার পশ্চিম বেগমবাড়ি জামে মসজিদের খতিব মুফতি আবু বকর সাদী।
মুফতি আবু বকর সাদী বলেন, পবিত্র কুরআনুল কারিমের তেলাওয়াত সতন্ত্র একটি ইবাদত। তবে অর্থ বুঝে তেলাওয়াত করলে দ্বিগুণ সওয়াব পাওয়া যায়। অর্থ বুঝে পড়ার মাধ্যমে বান্দার প্রতি আল্লাহর বার্তা জানা যায়। এতে তেলাওয়াতকারী কুরআনের স্বাদও অনুভব করতে পারেন। তাইÑ সম্ভব হলে আপনারও অর্থ বুঝে কুরআন তেলাওয়াত করুন।
দৈনিক আমাদের অর্থনীতির সিনিয়র সহ-সম্পাদক মুফতি হুমায়ুন আইয়ুবের উপস্থাপনায় তিনি আরও বলেন, রমজান আসমানি কিতাব নাজিলের মাস। এ মাসে আমাদের নবী হজরত মুহাম্মদ সা. এর উপর আল-কুরআন নাজিলের সাথে সাথে হজরত দাউদ আ. এর উপর জাবুর, হজরত ঈসা আ. এর উপর ইঞ্জিল, হজরত মুসা আ. এর উপর তাওরাত কিতাব নাজিল হয়েছে। একই সাথে হজরত ইবরাহিম আ. এর উপর তার সহিফাগুলোও নাজিল হয়েছে পবিত্র রমজানুল মোবারকে।
মুফতি আবু বকর সাদী বলেন, কুরআনের তেলাওয়াত বছরের সব সময়ই করা যায়। মুমিন বান্দার কাছে প্রতিটি মুহূর্তই কুরআন তেলাওয়াতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সময়। তিনি বলেন, রমজান মাসে আল্লাহর নৈকট্য লাভের অন্যতম উপায় কুরআন তেলাওয়া। আল্লাহর সাথে বান্দার সেতুবন্ধন গড়ার মাধ্যমও কুরআন তেলাওয়াত। এজন্যই রমজানের ফরজ রোজা আর ফরজ নামাজ আদায়ের পর কুরআন তেলাওয়াতে মনোনিবেশ করেন মুমিন বান্দারা।
মুফতি সাদী বলেন, রমজান মাসে রাসুল সা. এর কাছে জিব্রাঈল আ. আসতেন কুরআন তেলাওয়াত শুনতে এবং শুনাতে। এতেই বুঝা যায়Ñ এ মাসে কুরআন তেলাওয়াতের গুরুত্ব কতটুকু। হাদিসে আছেÑ রাসুল সা. বলেছেন, তোমরা কুরআন তেলাওয়াত কর। কারণ, এই কুরআন হাশরের ময়দানে এর তেলাওয়াত কারীর জন্য সুপারিশ করবে।’ [মুসলিম শরিফ]