ওয়ালি উল্লাহ সিরাজ: এই মাসে রোজা পালন করার সাথে সাথে কুরআন চর্চা বাড়িয়ে দিন। আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, ‘শাহরু রামাদানিল্লাজি উনজিলা ফি হিল কুরআন, হুদাল্লিন নাস’। রমজান এমন একটি মাস যে মাসে কুরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে- মানুষের হেদায়েতের জন্য। (বাকারা:১৮৫) রমজানকে বলা হয় কুরআনের মাস। আর কোরআন যেহেতু এসেছে হেদায়েতের বার্তা নিয়ে তাই রমজানকে হেদায়েতের মাস বলা হয়। আল্লাহ যাকে ভালোবাসেন তাকে মোবারক এই মাসে সিয়াম সাধনার তাওফিক দান করেন। আত্মসংযমের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তার মর্যাদাকে উঁচু করে দেন। তাকে আপন হেদায়েতের নূর দিয়ে সঠিক পথ প্রদর্শন করেন।
আল্লাহপাক কুরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘অবশ্যই তোমাদের নিকট আল্লাহর পক্ষ থেকে আলো ও সুস্পষ্ট গ্রন্থ এসেছে। এর মাধ্যমে আল্লাহ তাদেরকে শান্তির পথ দেখান, যারা তাঁর সন্তুষ্টির অনুসরণ করে এবং তাঁর অনুমতিতে তিনি তাদেরকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে বের করেন। আর তাদেরকে সরল পথের দিকে হিদায়াত দেন’। -(মায়িদাহ:১৫,১৬) সুতরাং যে এই নূরের উৎস আল-কুরআন বেশি বেশি তেলাওয়াত করে তার রুহ খুলে যায়, সে হয়ে যায় নূরের মানুষ।
এ ছাড়াও কুরআন তিলাওয়াতকে আল্লাহর সাথে একটি লাভজনক ব্যবসা হিসাবে তুলনা করা হয়েছে। বিভিন্ন ব্যবসায় লাভ এবং ক্ষতি দুটিরই সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু এখানে লাভ ছাড়া কোন প্রকার ক্ষতির আশঙ্কা নেই। আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, ‘যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে, সালাত কায়েম করে, আমার দেয়া রিজিক থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারাই আশা করতে পারে এমন ব্যবসার যা কখনো ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। কারণ আল্লাহ তাদের কর্মের পূর্ণ প্রতিদান দেবেন এবং নিজ অনুগ্রহে আরো অধিক দান করবেন। তিনি ক্ষমাশীল ও দয়াবান।’-(ফাতির ২৯-৩০)
সুতরাং আমাদের উচিত রমজানের রাত দিন হারাম কথা যথা- গীবত, পরনিন্দা ও হারাম দৃষ্টি থেকে নিজেকে হেফাজত করা এবং বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত করা। আল্লাহ আমাদের হিদায়াত ও সঠিক পথে থাকার এবং এই নূর থেকে নূর গ্রহণ করার তাওফিক দান করুন। আমীন।