নাসিমুজ্জামান সুমন : স্কুল, কোচিং আর পরীক্ষার ঘুরপাকেই সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে শৈশবের। মাঠে খেলাধুলা বা সমবয়সীদের সাথে সময় কাটানো হচ্ছে না শহরাঞ্চলের শিশুদের। ভালো ফলাফলের চ্যালেঞ্জে অভিভাবকরা শিশুদের নামিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে পড়ালেখার ম্যারাথনে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ছোট থেকেই এমন সিমাহীন চাপে বেড়ে ওঠার কারণে শিশুরা ধীরে ধীরে আত্মকেন্দ্রীক হয়ে পড়ছে।
প্রাথমিক পর্যায়ে পড়–য়া অনেক শিশুর কাছেই নিত্য ব্যস্তাতার কারণই অজানা। রুটিনের নামে রেসের পাল্লায় শুধুই পড়ালেখা। সারাদিনের ছুটোছুটিতে কর্মব্যাস্ততা বাবাÑমাকে অনেক ক্ষেত্রেই সন্তান পাশে পাচ্ছে না। প্রতিনিয়ত একঘেঁয়ে পরিস্থিতির মধ্যে দিন কাটানোর ফলে শিশুদের কাছে বিরতি বা ভ্রমণের অনুভূতি ভোতা হয়ে যাচ্ছে। প্রতিযোগিতার অভিলাষে শিশুদের এমন পরিস্থিতিতে ঠেলে দিয়ে কিছুই যেন করার থাকেনা অভিভাবকের।
মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রচন্ড চাপের মধ্যে বেড়ে ওঠা এই শিশুরা হয়তো মেধার দৌড়ে এগিয়ে যাবে কিন্তু ব্যহত হবে তাদের সাধারণ বিকাশ। সামাজিক বন্ধনের বদলে তাদের ভেতর জন্ম নেবে আত্মকেন্দ্রীকতা আর স্বার্থপরতা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘শিশু যখন চাপের মধ্যে থাকে সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়াটা বাধাগ্রস্থ বা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। যার ফলে একটা সময় গিয়ে বড় হয়ে তাদের মধ্যে আত্ম বিশ্বাসের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
আলো ভেবে অন্ধকার প্রতিযোগিতা তৈরি করছে মুখস্ত নির্ভর বিদ্যাভ্যাসের মানসিকতা। এর ফলে নষ্ট হচ্ছে কমলমতির সৃষ্টিশীল মনন গঠনের সুযোগ।
সূত্র : যমুনা টিভি।