আরিফুর রহমান : একের পর এক হত্যাকা-ে দেশ জুড়ে আতঙ্ক ছড়ালেও অধিকাংশ ঘটনারই মূল অপরাধীরা ধরা পড়ছে না। প্রতিবারই কেন পার পেয়ে যাচ্ছে মূল ঘাতকরা। এমন প্রশ্ন এখন সবার মাঝে। বিশ্লেষকরা বলেছেন, অপরাধীদের কৌশল আর প্রযুক্তির কাছেই মূলত মার খাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বহিনীর তৎপরতা। এসব হত্যাকা- প্রতিরোধে বাহিনীকে ঢেলে সাজানোর ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন তারা।
পুলিশের তল্লাশির ঘটনা নতুন নয়। কয়েকমাস পরপরই মোটর সাইকেল চালোনা নিয়ে নানা ধরনের নির্দেশনা আসে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তরফ থেকে। আবার এসব নির্দেশনা একেবারে অমূলক নয়। কারণ বিভিন্ন সময়ে ঘটা হত্যাকা-গুলো অধিকাংশতেই ঘাতকদের বাহন ছিল মোটর সাইকেল।
এরপর ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায়। এই যন্ত্রটিও মূল অপরাধী ধরতে ব্যবহৃত হয় সবখানে। সম্প্রতি চট্টগ্রামে এসপির স্ত্রী খুনের ঘটনায়ও এই সিসিটিভির ফুটেজ অপরাধী সনাক্তে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
প্রশ্ন হচ্ছে এতসব ব্যবস্থা, তৎপরতা বা আয়োজনের পরেও কেন ধরা পড়ছে না মূল অপরাধীরা।
সাবেক আইজিপি নুরুল আনোয়ার বলেন, ‘এমন একটা গোষ্ঠী, এমন একটা শক্তি এই হত্যাকা-গুলো ঘটাচ্ছে, যারা অনেক বেশি প্রশিক্ষিত, অনেক বেশি সামর্থবান। পুলিশের সাধারণ কার্যক্রমকে এরা অনুসরণ করে। পুলিশ একটা ঘটনার পরে কিভাবে প্রতিক্রিয়া করবে এরা এটা জানে এবং খেয়াল করে। খেয়াল করার পরেই টার্গেটকে এরা সরাসরিভাবে হত্যা করবার আগে র্যাকি করে। হত্যাকারীদের সাথে অনেক কৌশলি লোকজনও জড়িত আছে। যে কারণে পুলিশ ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরে এখনও তাৎক্ষণিকভাবে কোন ফলাফল আমাদের দিতে পারে নাই। এখন সময়ের দাবি হচ্ছে কাউন্টার, ট্যারিজম, ইন্টেলিজেন্স নামে ইউনিট তৈরি করা’।
আর তাই কৌশলি ঘাতক গোষ্ঠীর সাথে অনেক ক্ষেত্রে পেরে উঠছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী শিকদার বলেন, ‘গোয়োন্দা নেটওয়ার্কিং ও সক্ষমতার অভাব রয়েছে। আরেকটা বিষয় হল জঙ্গিদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য তারা যে প্রযুক্তি ব্যবহার করছে বা তাদের রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা জন্য তারা যে প্রযুক্তি ব্যবহার করছে সেটার সাথে পুলিশের প্রযুক্তি তাল মেলাতে পারছে না’।
এরকম জঙ্গি তৎপরতা ও হত্যাকা-রোধে সবার আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ঢেলে সাজানোর ওপর জোর দেন বিশ্লেষকরা। পাশাপাশি প্রযুক্তিগত বিষয়ে আরও সক্রিও হবার তাগিদও দিলেন তারা।
সূত্র: যমুনা টিভি.