প্রবাস ডেস্ক : গ্রীনকার্ড বিষয়ে নীতিমালা চুড়ান্ত করতে যাচ্ছে সৌদি সরকার। শুধুমাত্র বিদেশী বিনিয়োগকারী আর দক্ষ পেশাজীবিরাই পাচ্ছেন এ গ্রীনকার্ড। সৌদি আরবের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারনী মহল থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। ইতিপূর্বে ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এর ব্লুমবার্গ মিডিয়ার সাথে এক সাক্ষাৎকারে বিদেশী নাগরিকদের জন্য গ্রীনকার্ড চালু করার বিষয়টি উঠে আসে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমে যাওয়ায় সৌদি আরব তেলের উপর নির্ভরতা কমিয়ে ব্যবসা ও অন্যান্য খাতের সক্ষমতা বাড়িয়ে ২০৩০ সালের মধ্যে ২ ট্রিলিয়ন ডলারের একটি বিশাল ফান্ড তৈরি করার এক সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করে, যার নাম দেয়া হয় ভিশন-২০৩০।
‘ভিশন ২০৩০’ প্রকল্পের অধীনে বিদেশী নাগরিকদের গ্রীনকার্ড দেয়ার বিশেষ সুবিধা রাখার কথা চিন্তা করা হয়। সে অনুযায়ী গ্রীন কার্ডের নীতিমালা তৈরীর জন্য মন্ত্রনালয়গুলো কাজ করে যাচ্ছে। সৌদি ইকোনোমিক কাউন্সিলের ভাইস প্রেসেডেন্ট ফাহাদ বিন জুমা বলেন, আমরা দক্ষ বিদেশী নাগরিকদের মাধ্যমে সৃষ্ট অর্থনৈতিক ফসল ঘরে তুলতে চাই। গ্রীন কার্ডের নিয়মকানুন পুরোপুরিই আমেরিকার গ্রীনকার্ডের আদতে হবে। আমাদের সরকার দক্ষ বিদেশী নাগরিক ও বিনিয়োগকারীদের নিকট হতে অর্থনৈতিক এ সুবিধা গ্রহণ করতে আগ্রহী।
আওয়াদ আল আসিরি নামে শূরা কাউন্সিলের এক সদস্য বলেন, গ্রীন কার্ড পদ্ধতির মাধ্যমে অনেক বিদেশী নাগরিকও সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। যার মাধ্যমে সৌদি আরবে বিদেশী বিনিয়োগ বাড়বে। আর গ্রীনকার্ড গ্রহনের ফি বাবদ প্রাপ্ত অর্থের মাধ্যমে সৌদি আরব লাভবান হবে। ধারণা করা হচ্ছে এ পদ্ধতিতে বছরে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার অর্থ দেশের ভেতর খরচ হবে- যা বর্তমানে বিদেশী নাগরিকরা রেমিটেন্স এর মাধ্যমে অন্যদেশগুলোতে প্রেরণ করে থাকেন। সৌদি আরবে বর্তমানে প্রায় ১ কোটির মত বিদেশী নাগরিক অবস্থান করছেন।