রফিক আহমেদ : বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির যুগপূর্তিতে জাতীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বলেছেন, দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে সরকার নয় সমগ্র দেশ ও জনগণের জন্য ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনতে পারে।
মঙ্গলবার সকালে পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবনের প্রগতি সম্মেলন কক্ষে পরামর্শ সভায় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ হয় এসব কথা বলেন। ‘বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও করণীয়’ শীর্ষক এ পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বলেন, জনসমর্থনহীন সরকারের অগণতান্ত্রিক-স্বৈরতান্ত্রিক শাসন একদিকে চক্রান্ত-ষড়যন্ত্রের ক্ষেত্র তৈরি করছে, আর অন্যদিকে জঙ্গিবাদী-মৌলবাদী তৎপরতার সুযোগ বিস্তৃত করছে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে সরকার চূড়ান্ত দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়ে চলেছে। ধারাবাহিক ‘টার্গেট কিলিং’ মানুষের মধ্যে গভীর আতঙ্ক তৈরি করেছে। ঘাতকদের গ্রেফতার করার চেয়ে এসব রোমহর্ষক ঘটনা থেকে রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের অপকৌশলের কারণে ঘাতকেরা ধরাছোয়ার বাইরে থাকছে এবং তারা উৎসাহিত হচ্ছে। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বলেন, কেবল প্রচারসর্বস্ব গণগ্রেফতার করে এর সমাধান করা যাবে না। দেশের বিদ্যমান সংকটের উৎস রাজনৈতিক। তাই রাজনৈতিকভাবেই এ সংকট উত্তরণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। জনগণের ক্ষোভ-বিক্ষোভকে বিবেচনায় না নিয়ে কেবল দমন-নির্যাতনের পথে সরকার তার ফ্যাসিবাদী শাসন দীর্ঘায়িত করার যে আত্মঘাতি পথ গ্রহণ করেছে উন্নয়নের ঢোল বাজিয়ে তা থেকে বেরিয়ে আসা যাবে না। উন্নয়নের কথা বলে সরকার গণতন্ত্র ও মুক্তমনকে একসাথেই বনবাসে পাঠিয়েছে। পুরো দেশকে দুর্নীতিবাজ, জবরদখলকারী ও লুন্ঠনকারীদের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছে। এই অবস্থায় দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ আজ গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই পরার্মর্শ সভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, জাতীয় গণফ্রন্টের সমন্বয়ক টিপু বিশ্বাস, নাগরিক ঐক্যের প্রধান উপদেষ্টা এস.এম আকরাম, বিশিষ্ট সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, বাম মোর্চার নেতা অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, জোনায়েদ সাকি, মানস নন্দি, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম লালা, নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চার সভাপতি জাফর হোসেন, জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমোর্চার মাসুদ খান, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক জোটের আহ্বায়ক মঞ্জুরুল হক সিকদার, বাম মোর্চার নেতা শহীদুল ইসলাম সবুজ, মহিনউদ্দিন চৌধুরী লিটন, ভাসানী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবু নোমান খান, হারুনর রশীদ এবং বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেত্রী বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান ও আনসার আলী দুলাল প্রমুখ।