ওমর শাহ : রোজা একটি ফরজ ইবাদত। ইচ্ছাকৃত তা ভেঙ্গে ফেলা বা না রাখার সুযোগ নেই। ইচ্ছাকৃত তা ভেঙ্গে ফেলা কবিরা গুনাহ। রাজা ভেঙ্গে যাওয়ার কিছু সুনির্দিষ্ট কারণ রয়েছে। তবে এমন কিছু বিষয়ও রয়েছে যেসব কারণে রোজা ভাঙ্গে না।
অনিচ্ছাকৃত গলার ভেতর ধুলা-বালি, ধোঁয়া অথবা মশা-মাছি প্রবেশ করা।
অনিচ্ছাকৃত কানে পানি প্রবেশ করা।
অনিচ্ছাকৃত বমি আসা অথবা ইচ্ছাকৃত অল্প পরিমাণ বমি করা (মুখ ভরে নয়)।
বমি আসার পর নিজে নিজেই ফিরে যাওয়া।
চোখে ওষুধ বা সুরমা ব্যবহার করা।
ইনজেকশন নেয়া।
ভুলক্রমে পানাহার করা।
সুগন্ধি ব্যবহার করা বা অন্য কিছুর ঘ্রাণ নেয়া।
নিজ মুখের থুথু, কফ ইত্যাদি গলাধঃকরণ করা।
শরীর ও মাথায় তেল ব্যবহার করা।
ঠা-ার জন্য গোসল করা।
দিনের বেলায় ঘুমের মধ্যে স্বপ্নদোষ হওয়া।
মিসওয়াক করা। যদিও মিসওয়াক করার দরুন দাঁত থেকে রক্ত বের হয়। তবে শর্ত হলো গলার ভেতর না পৌঁছানো।
ভুলে পানাহার করলে।
ঘুমের মাঝে স্বপ্নদোষ হলে।
স্ত্রীলোকের দিকে তাকানোর কারণে বীর্যপাত হলে।
স্ত্রীকে চুম্বন করলে, যদি বীর্যপাত না হয় (রোজা না ভাঙলেও এটা রোজার উদ্দেশ্যের পরিপন্থী)।
দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা গোশত খেয়ে ফেললে (যদি পরিমাণে কম হয়), পরিমাণ বেশি হলে রোজা ভেঙে যাবে। ( সূত্র : বেহেশতি জেওর, হেদায়া)