মাহমুদুল আলম : জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলকে (জাসদ) সংসদে আনা ও ওই দল থেকে মন্ত্রী করার বিষয়টি তুলে ধরে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ।
মঙ্গলবার সংসদ অধিবেশনে তিনি বলেন, অবস্থা দেখে মনে হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখনকার গুপ্তহত্যাকারীদেরও ভবিষ্যতে সংসদে নিয়ে আসতে পারেন। তবে এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু সংসদে অধিবেশন কক্ষে উপস্থিত ছিলেন না।
সংসদের আইন প্রণয়নের কাজ শেষে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীতো নীলকণ্ঠ। বিষ খেয়ে হজম করতে পারেন। উনি সমস্ত বিষ খেয়ে হজম করে . . . জাসদ আজ সংসদে আছে। আমার মনে হয়, ভবিষ্যতে, এখন যারা গুপ্তহত্যা করছে, তাদেরও উনি সংসদে নিয়ে আসবেন।’
আলোচনার শুরুতে সভাপতির আসনে বসা ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়াকে উদ্দেশ করে ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘টেলিভিশনে আপনাকে এবং সরকারি দলকে বেশি দেখায়। কারণ হলো, তথ্যমন্ত্রী জাসদ। আমরা ছাত্রলীগ করতাম। একসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ করেছি, এক বিছানা থেকে উঠে এসে উনি আমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছেন। গুণে গুণে আমাদের ২০ লাখ লোককে হত্যা করল। সেদিন গণবাহিনী গঠন করে বেছে বেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা না করলে দেশের দুর্দিন হতো না। বঙ্গবন্ধুর মতো এত বড় জাতীয় নেতাকে আমরা হারাতাম না। সে জন্য জাতি আজ পর্যন্ত ভুগছে।’
গত সোমবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের দেওয়া বক্তব্যকে সমর্থন করে ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘সৈয়দ আশরাফ যথার্থ বলেছেন। এই ইনু সাহেবরা জাসদ করে . . .সংসদে ঢুকে এসব করছে।’ সোমবার ছাত্রলীগের এক অনুষ্ঠানে সৈয়দ আশরাফ বলেন, জাসদ থেকে মন্ত্রী করার প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে।
অনির্ধারিত আলোচনায় জাসদের আরেক অংশের নেতা মইন উদ্দীন খান বাদল ফ্লোর চাইলে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, ‘আমাদের সিদ্ধান্ত হচ্ছে, বাজেট আলোচনা চলার সময় পয়েন্ট অব অর্ডার দেব না। আপনি (ফিরোজ রশীদ) টেলিভিশনে দেখানোর কথা বলে কিছু স্পর্শকাতর বিষয় বলেছেন। সেগুলো আমি এক্সপাঞ্জ করব।’
সম্পাদনা : সুমন ইসলাম