কিরণ সেখ : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সিদ্ধান্তে নতুন যুগ্ম মহাসচিব ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের নাম ইতোমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে। আর এ কারণে দলের বেশ কয়েকজন জাঁদরেল নেতা পদবঞ্চিত হয়েছেন। এই পদবঞ্চিতদের অন্য কোনো পদ দেওয়া হবে কি না সেই বিষয়ে এখনও অন্ধকারে রয়েছেন ওইসব নেতা ও তাদের কর্মীরা। অন্যদিকে বিএনপির কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন, দলের পদ থেকে বাদ পড়া এসব নেতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন বেগম জিয়া। আগামী এক থেকে দুই মাসের মধ্যে তিনি ‘খালেদা জিয়া’ এই বিষয়ে কিছু জানাতে পারেন। তবে এসব বিষয়ে কি হবে না হবে তা কেবল বেগম জিয়ার উপর নির্ভর করছে।
পদবঞ্চিত নেতাদের বিষয়ে বিএনপির সিদ্ধান্ত সম্পর্কে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আমাদের অর্থনীতিকে বলেন, পূর্ণাঙ্গ কমিটি হলেই তাদের (বাদ পড়া নেতা) বিষয়ে জানতে পারবেন। এর আগে কিছু বলা যাবে না।
এদিকে দেখা গেছে, আগের কমিটির সাতজন যুগ্ম মহাসচিবের মধ্যে বর্তমান কমিটিতে মাহবুব উদ্দিন খোকনই শুধু রয়েছেন। বাকি সবাই নতুন। বাদ পড়া গত কমিটির যুগ্ম মহাসচিবদের মধ্যে আমানউল্লাহ আমান, মিজানুর রহমান মিনু, বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, সালাহ উদ্দিন আহমেদের বিষয়ে কোনো ঘোষণা এখনও আসেনি।
অপরদিকে সাংগঠনিক সম্পাদকের নয়টি পদে আগের একই পদের মধ্যে ফজলুল হক মিলন ও রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু এবারও সেই পদে রয়েছেন। বাকি ছয়জনই নতুন। বাদ পড়া নেতারা হলেনÑ গোলাম আকবর খোন্দকার, মসিউর রহমান, হারুন অর রশিদ, মজিবুর রহমান সরোয়ার, নাদিম মোস্তাফা। এছাড়া সিলেট বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস, যিনি ২০১১ সালে নিখোঁজ হওয়ার পর এখনও কোনো সন্ধান মেলেনি।
গত কমিটি থেকে বাদ পড়া যুগ্ম মহাসচিব ও সাংগঠনিক সম্পাদকরা নতুন কোনো পদে আসবেন কিনা, এই প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন আমাদের অর্থনীতিকে বলেন, বর্তমান নতুন কমিটিতে কে পদ পাবেন আর কে পাবেন না সেই বিষয়ে বলতে পারবেন বিএনপি চেয়ারপারসন। কারণ দলের জাতীয় কাউন্সিলে এই দায়িত্ব বেগম জিয়ার উপর দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা না হওয়ার আগে এই বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।
এই বিষয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খোন্দকার আমাদের অর্থনীতিকে বলেন, দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা না হওয়ার আগে আমি কিছু বলতে পারব না। কারণ বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে দলের চেয়ারপারসন দেখছেন।
গত ১৯ মার্চ অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে খালেদা জিয়া চেয়ারপারসন ও তারেক রহমান জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান পদে পুনর্র্নির্বাচিত হন। ২০ দিন বাদে মহাসচিব ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিবের এবং পরে যুগ্ম মহাসচিব ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের নাম ঘোষণা হয়। কমিটির অন্য সদস্যদের নাম এখনও ঘোষণা করা হয়নি। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম