সালমা পারভীন : গত ৯ মাসে রংপুরে জাপানি নাগরিকসহ ১২টি চাঞ্চল্যকর হত্যার ঘটনায় একটিরও তদন্ত শেষ করতে পারেনি পুলিশ। এরমধ্যে অন্তত পাঁচটি ঘটনায় জঙ্গি সম্পৃক্ততা থাকলেও আদালতে এখনো চার্জশিট দাখিল করা হয়নি। এতে, বিচার প্রক্রিয়া স্থবির হয়ে পড়েছে।
পুলিশের দাবি, প্রতিটি হত্যাকা-ের রহস্য উদঘাটন হওয়ায় শিগগিরই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।
গত বছরের ৩ অক্টোবর রংপুরের কাউনিয়ায় জাপানী নাগরিক হোসি কুনিকে খুনের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু হয় এ অঞ্চলে জঙ্গিদের গুপ্ত হত্যা। এরপর ১০ নভেম্বর কাউনিয়ায় এক মাজারের খাদেম রহমত আলী, চলতি বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে মঠের পুরোহিত যজ্ঞেশ্বর রায়কে, ২২ মার্চ কুড়িগ্রামে ধর্মান্তরিত এক মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলী এবং ২৫ মে গাইবান্ধার মহিমাগঞ্জে দেবেশ প্রামাণিককে একই কায়দায় কুপিয়ে জবাই করে হত্যা করে জঙ্গিরা।
এছাড়াও দিনাজপুরে ইতালি নাগরিক চিকিৎসক এবং রংপুরে বাহাই সম্প্রদায়ের নেতাকে হত্যা প্রচেষ্টাসহ ১২টি চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে।
এসব ঘটনার একটিরও চার্জশিট দিতে পারেনি পুলিশ। তবে রংপুর বিভাগ পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবি আই) পুলিশ সুপার আব্দুস সালামের দাবি, ত্রুটিমুক্ত চার্জশিট তৈরির জন্যই একটু সময় লাগছে।
অপরাধ বিশ্লেষক অধ্যক্ষ খন্দকার ফখরুল আনাম বেঞ্জুর মতে, নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে বিচার কার্য শেষ না করার কারণেই এই সন্ত্রাসীদের রোধ করা যাবে না।
রংপুর বিভাগের ৮ জেলার মধ্যে ৫টি জেলাতেই জঙ্গিরা চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাগুলো ঘটায়।
সময় টিভি থেকে নেয়া