মেহেরপুর প্রতিনিধি: দেশজুড়ে একের পর এক ভিন্নমতালম্বী খুন হওয়ায় জেলার গ্রামগুলোতে সংখ্যালঘুদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষদের মনে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। মানুষের চোখে-মুখে উৎকণ্ঠা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এই সমস্যা নিরসনে মাগুড়া, চুয়াডাঙ্গার পর এবার মেহেরপুরের পুলিশ সুপার গ্রামের সাধারণ মানুষের সমন্বয়ে সন্ত্রাস প্রতিরোধে কমিটি গঠন করছেন। এই কমিটি রাত-দিন পাহারা দিয়ে সন্ত্রাস প্রতিরোধ করবে।
কমিটির প্রতিটি সদস্যর হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে একটি করে বাঁশের লাঠি, বাঁশি ও টর্চলাইট।
বুধবার বিকালে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামুন্দি ইউনিয়নের দেবীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে প্রতিরক্ষা দল গঠনের লক্ষে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথি জেলার পুলিশ সুপার হামিদুল আলম গ্রাম প্রতিরক্ষা দলের সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, ‘মেহেরপুর জেলায় কোনো সন্ত্রাসীর ঠাঁই হবে না। আপনাদের পাহারারত অবস্থায় কোনো সন্ত্রাসীকে যদি হাতে পেয়ে যান, তাহলে তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলবেন।’
তিনি বলেন, ‘এর জন্য আপনাদের কোনো হয়রানীর শিকার হতে হবে না। যে কোনো মূল্যে জেলাকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে হবে। সংখ্যালঘুসহ সাধারণ মানুষকে শান্তিতে বসবাস করার সুযোগ করে দিতে হবে।’
এভাবে জেলার সকল গ্রামে একাধিক প্রতিরক্ষা দল গঠন করা হবে বলে তিনি জানান।
দেবীপুর গ্রামের স্কুল শিক্ষক মো. সামসুজ্জোহার সভাপতিত্বে সমাবেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহমারুজ্জামান, গাংনী থানার ওসি আকরাম হোসেন, বামুন্দি ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়াল হোসেন, নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শহিদুল হক বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশ শেষ ওই ইউনিয়নের দেবীপুর, ঘোড়াঘাট ও চক কল্যানপুর গ্রামের সাধারণ মানুষদের নিয়ে ১০টি প্রতিরক্ষা কমিটি গঠন করা হয়। প্রতিটি কমিটিতে সদস্য সংখ্যা ১০ জন।
কমিটি গঠন শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে পুলিশ সুপার হামিদুল আলম প্রতিরক্ষা দলের সদস্যদের হাতে একটি করে বাঁশের লাঠি, বাঁশি ও টর্চলাইট তুলে দেন।