কিরণ সেখ : লিবারেল ডেমোক্রেটিক পাটি-এলডিপির ইফতার মাহফিলে বিনা আমন্ত্রণে এসে অনুষ্ঠানে প্রবেশ করতে না পেরে দলটির দুই নেতাকে মেরেছে ছাত্রদলের বেশ কয়েকজন কর্মী। রমজানের দশম দিনে রাজধানীর ইস্কাটনে লেডিস ক্লাবে এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে এলডিপি।
ছাত্রদলের কর্মীদের প্রহারে আহতরা হলেন এলডিপির যুব সংগঠন, গণতান্ত্রিক যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামন মনির এবং তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সোহাগ হাসান। মারধরে তাদের দুজনেরই শরীরের বিভিন্ন স্থানে কেটে গেছে।
মনিরুজ্জামন মনির জানান, সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ১০-১২ জনের একটি দল নিজেদের ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি নেতা পরিচয় দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে চায়। তাদেরকে আমন্ত্রণপত্র দেখাতে বলা হলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তার ওপর হামলা চালায়। এ সময় মনিরের আরেক সহকর্মী সোহাগ এগিয়ে এলে ছাত্রদল কর্মীরা তার ওপরও চড়াও হয়। এতে দুই জনেরই শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। পরে এলডিপির সিনিয়র নেতারা সেখানে গেলে ছাত্রদল ওই কর্মীরা সরে পড়ে।
এ দিকে এ ঘটনার পর ক্ষোভ প্রকাশ করে এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদৎ হোসেন সেলিম মঞ্চে উঠে মাইকে বিষয়টির জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘ছোট্ট পরিসরে আমরা যাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি তারাই এসেছেন। কিন্তু আমন্ত্রিত অতিথির বাইরে এসে অন্য দলের নেতাকর্মী আমাদের নেতাকর্মীদের মারধর করবেন, এটি মেনে নেওয়া যায় না। এতে আমরা লজ্জিত এবং একই সঙ্গে দু:খ প্রকাশ করছি। আমরা এ ধরনের ঘটনা আশা করিনি।’
পরে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল মঞ্চের পেছনে ডেকে নিয়ে সেলিমের সঙ্গে কথা বলেন। ইফতার মাহফিলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তবে অনুষ্ঠান স্থলে তার আসার আগেই এই ঘটনা ঘটে।
মঞ্চে খালেদা জিয়ার সঙ্গে এলডিপির সভাপতি ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ, মহাসচিব ড. রেদওয়ান আহমেদ, জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য এ টি এম আবদুল হালিম জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, চেয়ারম্যান ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম চৌধুরী।
এছাড়া জোটের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদৎ হোসেন সেলিম, এম এম আমিনুর রহমান, লেবার পার্টিও মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী, ইসলামী ঐক্যজোটের যুগ্ম মহাসচিব মো. শওকত আমীন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির মহাসচিব খন্দকার লুৎফর রহমান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব মো. আবুল কাশেম, এনডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম ঈসা প্রমুখ অংশ নেন।