কায়কোবাদ মিলন: এই কাহিনী সিনেমার গল্পকেও হার মানানোর মত। সেনাবাহিনীর জওয়ান ধর্মবীর সিং ২০০৯ সালে নিখোঁজ হলে তিন বছর পর তাকে মৃত বলে ঘোষণা দেয়া হয়। তিনি ওই সময় এক দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে তার স্মৃতিশক্তি হারান।
সম্প্রতি দেরাদুনে ভিক্ষা করার সময় আরেকটি গাড়ি তাকে ধাক্কা দিলে তিনি তার পুরো স্মৃতিশক্তি ফিরে পান। টাইমস অব ই-িয়া
সাবেক সেনাসদস্য কৈলাশ ভোর রাতে দেখতে পান তার ‘মৃত’ ছেলে ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে। এরপর যা হওয়ার তাই হল। ধর্মবীরের ভাই, স্ত্রী মনোজ দেবী, দুই মেয়ে এতদিন পর হারিয়ে যাওয়া লোকটিকে দেখে তাজ্জব।
ধর্মবীরের ভাই রাম নিবাস জানান, তার ভাই দেরাদুনে সেনাবাহিনীর গাড়ি চালাবার সময় দুর্ঘটনায় পতিত হয়। গাড়িতে থাকা আরও দুজন সৈনিকও এই সময় আহত হয়। তাদের গাড়িটি উল্টে গিয়েছিল। কারো লাশই পাওয়া যায়নি। সেনাবাহিনী এক পর্যায়ে ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করে এবং ধর্মবীরের পরিবারের জন্য পেনশনের ব্যবস্থা করে।
ধর্মবীরের পরিবার কখনো মনে করেনি সে ফিরে আসবে কোনদিন। কিন্তু তার স্ত্রী মনোজ দেবী তার স্বামীর নিরাপত্তার জন্য উপবাস করতেন। মনোজ বলেছেন, তার মনে ক্ষীণ আশা ছিল তার স্বামী একদিন ঠিকই ফিরে আসবেন। এবং তাই সত্যি হল।
ধর্মবীর বলেছেন, ২০০৯ সালের দুর্ঘটনার পর কি কি ঘটেছে কিছুই তার মনে নেই। তবে গত সপ্তাহে যে তিনি হরিদ্বারে ভিক্ষা করেছেন সেকথা তার মনে আছে। ভিক্ষা করার সময়ই একটি বাইক তাকে ধাক্কা দিলে তিনি উপলদ্ধি করেন, তার স্মৃতি শক্তি ফিরে আসছে।
বাইকচালক তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ধর্মবীর বলেন, যে লোকটি তাকে বাইক চাপা দিয়েছিল সে তাকে ৫শত টাকাও দিয়েছিল। ধর্মবীর বলেন.‘ওই টাকা পেয়ে আমি সোজা দিল্লির টিকিট কিনি। অবশেষে আমি আমার গ্রাম আলোয়ারে ফিরে আসতে সক্ষম হই। সকলকে কাছে পেয়ে আমার কি যে ভাল লাগছে তা বলে বোঝানো যাবেনা। আমার মেয়েদেরতো আমি চিনতেই পারছিলামনা।’
ধর্মবীরের এক মেয়ে দশম শ্রেনীতে আরেক মেয়ে বার ক্লাশে পড়ে। তাকে তার পরিবার চিকিৎসার জন্য জয়পুরে নিয়ে গেছে।