ছাতক প্রতিনিধি : ছাতকে পৃথক ৩টি সংর্ঘষে দেড় শতাধিক লোক আহত হয়েছেনে। বুধবার তারাবী নামাজের পর এসব ঘটনা ঘটে। এরমধ্যে দুপক্ষ পরপর দুবার সংর্ঘষে জড়ান। প্রথমবার কথা কাটাকাটরি জেরে, এতে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে দ্বিতীয়বার তারা সংর্ঘষে জড়িয়ে পড়েন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলশি সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জাউয়াবাজারে তারাবী নামাজের পর জাউয়া-পুবপাড়া ও কোনাপাড়া গ্রামবাসীর মধ্যে এক সংর্ঘষে প্রায় শতাধিক লোক আহত হয়। পুবপড়ার হাববিুর রহমানের ছেলে রাকবি আলী ও কোনাপাড়ার আজজিুল ইসলামের ছেলে রকরি কথা কাটাকাটরি নিয়ে সংর্ঘষ শুরু হয়। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। পরে কৈতক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে দু’পক্ষ আবারো ঘংঘর্ষে জড়ান। এরমধ্যে আহত ৬৪জন ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানান ডাক্তার মোজাহারুল ইসলাম।
একই সময়ে উপজলোর কালারুকা ইউনিয়নের হাসনাবাদ বাজারে একটি দাড়ি পাল্লাকে কেন্দ্র করে হাসনাবাদ গ্রামের মানিক মিয়া ও সৈয়দ আহমদের মধ্যে কথা কাটাকাটির জের ধরে দু’পক্ষ সংর্ঘষে জড়য়িে পড়ে। এতে কমপক্ষে ২০ ব্যক্তি আহত হয়। গুরুতর আহত কালা ময়িা (৬৫), মানকি ময়িা (৩৫), সৈয়দ আহমদ (৪০)সহ অন্যদের ছাতক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
একই রাতে কালারুকা ইউনিয়নের শিমুলতলা গ্রামে বাড়ির সীমানা পিলার উপড়ে ফেলাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মহিলাসহ ৩০ব্যক্তি আহত হয়েছেন। শিমুলতলা গ্রামের শাহ মোহাম্মদ শুকুর আলীর ছেলে শাহ মোহাম্মদ শওকত আলী ও একই গ্রামের মৃত আব্দুল বারির ছেলে আবুল হাসান মোহাম্মদ দৌলত মিয়ার মধ্যে র্দীঘদিন থেকে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো।
এ নিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় দু’পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়ান। তবে প্রভাবশালী দৌলত মিয়ার লোকজন প্রতিপক্ষের ঘর-বাড়িতে হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে শওকত আলীর মাতা বানেছা বেগম (৬০), পিতা শাহ মোহাম্মদ শুকুর আলী (৭৫), মোহাম্মদ আলী (৪৫), জাহাঙ্গীর আলম (৪০), আলমগীর হোসেন (৩৫), বুরহান উদ্দিন (৩০), আনোয়ার হোসেন (৩২), বলাই মিয়া (৫০), ফজল মিয়া (৫০), ফাতেমা বেগম (৩২), সামছুদ্দীন (৫০), আনোয়ার উদ্দীন (৪০), মুহিবুর রহমান (৪০), তেরাই মিয়া (৫২), আবুল লেইছ (৩৮), ফারুক মিয়া (৪০), আবুল হাসনাত (৪০), পাবেল মিয়া (৩৫) ও জুয়েল মিয়াকে (৩৮) ছাতক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।