সালমা পারভীন: ট্রানজিটের সিদ্ধান্ত যতটা না- অর্থনৈতিক তার চেয়ে বেশী রাজনৈতিক- তাই লাভ-লোকসানের হিসেবটা শুধু টাকার অঙ্কে বিবেচনায় না নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রদূত ও অর্থনীতিবিদরা। তাদের মতে সময়ই বলে দিবে পাল্লা কোন দিকে ভারী হলো।
তবে ট্রানজিটের মাশুল নির্ধারণের ক্ষেত্রে আরও দরকষাকষি করা যেতো বলে মত বিশ্লেষকদের। এক্ষেত্রে এটি পূনর্বিবেচনার পরামর্শ তাদের।
চ্যানেল টোয়েন্টি ফোরের একটি স্বাক্ষাতকারে অংশগ্রহন করে সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমান ও সিনিয়র রিসার্চ ফেলো, বিআইডিএস ড.মঞ্জুর হোসেন এসব কথা বলেন ।
কোলকাতা থেকে শিলিগুড়ি, শিলং হয়ে আগরতলায় পণ্য নিতে পাড়ি দিতে হতো ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটারের পথ। ট্রানজিটের ফলে যা নেমে এলো ৫০০ কিলোমিটারে। শুধু দূরত্বই নয়, বাংলাদেশের ওপর দিয়ে পণ্য বহনের সুযোগ পাওয়ায়, সময় ও অর্থও বাঁচলো ভারতীয় ব্যবসায়ীদের।
এর আগে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের প্রশ্নটি আসলেই আলোচনায় আসতো ট্রানজিট। যাকে দেখা হতো বাংলাদেশের জন্য দরকষাকষির হাতিয়ার হিসেবে। নৌ-প্রটোকলের আওতায় বহুল আলোচিত সেই ট্রানজিট শুরু হওয়ায় এখন চলছে হিসেব-নিকেশ আখেরে লাভ হলো কার?
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রানজিটের সিদ্ধান্ত শুধু আর্থিক লাভ-ক্ষতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এর মধ্যে রাজনীতিও রয়েছে। তাই লাভ-লোকসানের বিচার সময়ের ওপরই ছেড়ে দিচ্ছেন তারা।
ওয়ালিউর রহমান ও ড.মঞ্জুর হোসেন এই দুই বিশ্লেষকের মতে, ট্রানজিটের জন্য যে মাশুল ধরা হয়েছে, তা খুবই নগন্য। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ-ভারতের সঙ্গে অমীমাংসিত বিষয়গুলো বিবেচনায় নিতে পারত।
বিশ্বায়নের এ যুগে কোনো দেশের পক্ষেই আর দরজা বন্ধ রাখা সম্ভব নয়। তবে এসব ক্ষেত্রে জাতীয় স্বার্থের বাইরে অন্যকিছু গুরুত্ব পেলে তা হবে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা-এমনটায় মনে করেন বিশ্লেষকরা।
সম্পাদনা:সারীফা রিমু//
সূত্র :চ্যানেল ২৪