স্পোর্টস ডেস্ক : কোপা আমেরিকার শেষ আটের প্রথম লড়াইয়ে ইকুয়েডরকে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। ডেম্পসি এবং জার্দেসের গোল দুটি সিয়াটলের সেঞ্চুরি লিঙ্ক ফিল্ডের গ্যালারি ভর্তি দর্শকদের সমর্থকদের আনন্দে উন্মাতাল করে তোলে।
‘ফেবারিট’ যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে আরোয়োর গোলে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেছিলো ইকুয়েডরও। কিন্তু ২-১ ব্যবধানেই ফল নির্ধারিত হয়ে যায়।
এই জয়ের ফলে ১৯৯৫ সালের পর প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে উঠলো জার্গেন ক্লিনসম্যানের যুক্তরাষ্ট্র। পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে জোনসের ফ্রি কিক স্টাইলে তুলে দেয়া বলটিতে দুর্দান্তভাবে মাথা ছুঁইয়ে ম্যাচের প্রথমার্ধের ২২ তম মিনিটেই দলকে এগিয়ে দেন ক্লিন্ট ডেম্পসি। এর পর গিয়াসি জার্দেসের সৌজন্যে স্বাগতিকদের দ্বিতীয় গোলটি আসে দ্বিতীয়ার্ধের ৬৫ তম মিনিটে।
তবে এর দশ মিনিট পরেই মাইকেল এন্টোনিও আরোয়োর গোলে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেয় ইকুয়েডর। ওয়াল্টার আয়োভির বাড়ানো বলে আরোয়োর জোড়ালো শটটি লক্ষ্যভেদ করে। কিন্তু এরপর আর গোলের দেখা পায়নি তারা। দুর্দান্ত খেলেও এবারের আসরে যাত্রা সমাপ্ত হলো ইকুয়েডরের।
কোপা আমেরিকায় এর আগে এই দলের সর্বশেষ দেখা হয়েছিলো সেই ১৯৯৩ সালে। ম্যাচটিতে গ্রুপ পর্বের সেই লড়াইয়ে স্বাগতিক ইকুয়েডর ২-০ গোলে হারিয়েছিলো যুক্তরাষ্ট্রকে। পক্ষ পাল্টিয়ে ইতিহাস যেনো আজ আবারো ফিরে এলো স্বাগতিকদের সেঞ্চুরি লিঙ্ক ফিল্ডে। সেমিতে আর্জেন্টিনা এবং ভেনেজুয়েলার মধ্যকার কোয়ার্টার ফাইনালের বিজয়ী দলের মুখোমুখি হবে যুক্তরাষ্ট।
এই নিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ছয়বারের লড়াইয়ে চারবারই জয় পেলো যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে একটিতে বিজয়ী হয় ইকুয়েডরের এবং অপরটি ড্র হয়। স্বাগতিক হওয়ায় প্রায় সম্পূর্ণ গ্যালারির দর্শকের সমর্থন নিজেদের অনুকূলে ভালোই কাজে লাগিয়েছে ইউএস।