ইয়াসমিন আক্তার : ইসরাইলের দখলদারিত্ব আর নির্যাতনের সংবাদ প্রচার করে সারা ফেলেছে নয় বছর বয়সী জান্না জিহাদ আয়াদ। ফেসবুক ইউটিউব সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষুদে এই রিপোর্টারের ভিডিও রিপোর্ট নজর কেড়েছে বিশ্ব মিডিয়ায়। তিন বছর ধরে ইসরাইলি নির্মমতার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে জান্না। অনেকে জান্নার কর্মকা-কে বলছেন ডিজিটাল ইন্তেফাদা।
ফিলিস্তিনির পশ্চিম তীরের গ্রামটি বিশ্বজুরে আলোচনায় এনেছে নয় বছর বয়সী শিশু জান্না জিহাদ আয়াদ। যেখানেই ইসরাইলি সেনাদের অন্যায় আচরণের শিকার হচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা সেখানেই ক্যামেরা হাতে ছুটছেন ক্ষুদে এই সাংবাদিক। নিপীড়নের চিত্র তুলে ধরতে সাত বছর বয়স থেকেই চলছে জান্নার কর্মকা-।
জান্না বলেন, যখন দেখলাম যা ঘটছে তার অনেক কিছুই বিশ্ববাসীকে জানানোর কোন উপায় নেই। আমাদের দু:খ দুর্দশার খবর কেউ বলে না। আমার বন্ধু মুস্তাফা, কাকা রুশদিকে ওরা মেরে ফেললো। সেদিনের পর থেকে নিজেই ক্যামেরা হাতে তুলে নিয়েছি।
জান্না আরও বলেন, নিজেকে একজন সাংবাদিক ভাবতেই ভালো লাগে। অন্যান্য রিপোটার্দের মতোই আমিও ইসরাইলি দমন পিড়নের খবর তুলে ধরছি। এটা আমার ডিজিটাল লড়াই।
জান্নার তোলা ছবি ও ভিডিও আপলোড হচ্ছে ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবের মতো সামাজিক মাধ্যমে। ফেসবুকে তার ফলোয়ার লাখ ছাড়িয়েছে। ঝুঁকির বিষয়ে সচেতন হলেও মেয়ের কর্মকা-ের পুর্ণাঙ্গ সমর্থন আছে পরিবারের।
জান্নার মা বলেন, জান্না যা দেখে তারই ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। ছোট্ট মেয়েটি বিশ্ববাসীকে প্রতিনিয়ত ফিলিস্তিনিদের দু:খ-ব্যথা জানিয়ে দিচ্ছে। তাই আমার মেয়েকে নিয়ে আমি গর্বিত। তবে মাঝে মাঝে ভয় হয় ইসরাইলি সেনারা ওকে মেরে ফেলে কিনা?
জান্না জিহাদ আয়াদের স্বপ্ন সাংবাদিকতা বিষযে উচ্চ শিক্ষা। কাজ করার ইচ্ছা সিএনএন বা ফক্স নিউজে। কারণ তার মতে পশ্চিমায় এসব সংবাদ মাধ্যমে ইসরাইলি নিপিড়নের সঠিক চিত্র আসে না।
সূত্র : যমুনা টিভি