কায়কোবাদ মিলন: ভারতে ধর্মীয় সহনশীলতা হ্রাস পাচ্ছে, পাশাপাশি ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনও বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ও ইউএস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডমের সাবেক চেয়ারম্যান রবার্ট পি জর্জ কংগ্রেসের শুনানিতে ওয়াশিংটনে একথা বলেছেন।
এর আগে ফরেন এ্যাফেয়ার্স কমিটিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য, বিশ্ব মানবাধিকার, আফ্রিকা বিষয়ক সাব কমিটিতে ভারতে সংখ্যালঘু বিশেষ করে খ্রীষ্টান, মুসলমান ও শিখ সম্প্রদায়কে গত এক বছরে নানা রকম সহিংসতা, নির্যাতন, হুমকির সম্মুখিন হতে হয়েছে। এই নির্যাতনের অধিকাংশ ঘটনাই ঘটেছে হিন্দু জাতীয়তাবাদী গ্রুপের হাতে বলে র্জজ অভিযোগ করেছেন।
ক্ষমতাসীন বিজেপি অঘোষিতভাবে এই গ্রুপগুলোকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে ও ধর্মীয়ভাবে বিভেদ সৃষ্টিকারী ভাষা প্রয়োগের মাধ্যমে আরও উত্তেজনা সৃষ্টি করে চলেছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।
জর্জ বৃহষ্পতিবার আইন প্রণেতাদের বলেন, পুলিশের পক্ষপাতিত্ব ও বিচার বিভাগের অপর্যাপ্ততায় অনেকেই অব্যাহতি পেয়ে যাচ্ছেন। যখন ধর্মকেন্দ্রীক অপরাধ সংঘটিত হয় ও সংখ্যালঘুদের আশ্রয়স্থল সংকুচিত হয়ে পড়ে তখন স্বভাবতই তারা নিজেদেরকে অনিরাপদ মনে করেন।
জর্জ তার সাক্ষ্যতে বলেন, গত বছর উচ্চবর্ণের লোকজন এবং অরাজনৈতিক নেতারা নিম্ম বর্গের হিন্দু দলিতদের মন্দিরে প্রবেশে বাধা প্র্রদান করেছে। কেন্দ্রীয় সরকার অথবা রাজ্য সরকার ধর্মান্তর বিরোধী, গরু নিধন এবং এনজিও’র বিদেশি তহবিল সংক্রান্ত বহু আইন করেছে।
সাক্ষ্য প্রদানকালে জর্জ অভিযোগ করেন, সুশীল সমাজ বিশেষ করে এনজিওগুলো বিদেশ থেকে তহবিল গ্রহণ করে তবে বহু বাধার সম্মুখীন হয়। ২০১৫ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ৯ হাজার দাতব্য সংস্থার লাইসেন্স প্রত্যাহার করে নিয়েছে। উদাহরণ দিয়ে তিনি সাবরং ট্রাষ্ট ও সিজেপির কথা উল্লেখ করেন।
এই দুটি সংগঠন ২০০২ সাল থেকে গুজরাট দাঙ্গার ব্যাপারে আদালতে লড়াই করেছে। তাদের রেজিষ্ট্রেশন প্রত্যাহার করা হয়েছে কিনা তা তিনি আইন প্রণেতাদের কাছে জানতে চান।
জর্জ আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ফোর্ড ফাউ-েশন সিজিপি ও সাবরং ট্রাষ্ট্রকে কিছুটা সাহায্য করত। তাদেরকে নজরদারির তালিকায় রাখা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে। অভিযোগটা হল তারা নাকি সাম্প্রদায়িক বিরোধ পোষক।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।