সালমা পারভীন : ইফতার পার্টি কেন্দ্রিক রাজনীতির পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে দেশের বড়ো দু’টি রাজনৈতিক দল। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এ নিয়ে রাজনীতিকে ধর্ম-ব্যবসার সাথে তুলনা করলেও এর মাধ্যমে সাংগঠনিক শক্তি জোরদার করার কথা বলছে বিএনপি। ধীরে ধীরে দলগুছিয়ে তারা আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিলেও তা আমলেই নিচ্ছে না আওয়ামী লীগ।
রমজানের শুরু থেকেই রাজধানীতে বিভিন্ন ইফতার মাহফিলে যোগ দিচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ইতোমধ্যেই রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক ও পেশাজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সম্মানে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছেন তিনি।
এদিকে, রমজানের তৃতীয় দিনে এতিমদের সাথে নিয়ে ইফতার করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি আরো কয়েকটি ইফতার মাহফিলে যোগ দেন। ইফতার পার্টিকে কেন্দ্র করে বিএনপি দলগোছানোর চেষ্টা করলেও এ নিয়ে রাজনীতি করতে নারাজ আওয়ামী লীগ।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘তাদের চিন্তা চেতনার মাঝে সংমিশ্রণ আছে। তারা ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করে, ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করতে চায়, আমরা এটা চাই না। বিএনপি যদি চায় রোজার মাসটাকে তারা ব্যবহার করবে সেটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার।’
আর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ.স.ম. হান্নান শাহ বলেন, ‘যখনই আমরা একটা ইফতার পার্টি করি। তখন ওই এলাকার সকল নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়। ওই ইফতার পার্টিটা আয়োজন করতে গেলেও সংগঠনের প্রয়োজন হয়। এতেও আমরা উপকৃত হচ্ছি এবং দল এগিয়ে যাচ্ছে।’
রমজানের পরেও শক্তি সঞ্চয়েই সময় দিতে চায় বিএনপি। এরপর সুযোগ বুঝে আন্দোলনে নামতে চায় তারা। এ বিষয়ে হান্নান শাহ বলেন, ‘প্রত্যেক নেতাকর্মীকে আমরা যদি বলি তোমরা ৫০ জন করে লোক নিয়ে আসবে। ঢাকা শহরে তখন আমাদের কতজন রাস্তায় নামবে। আমরা সব কটায় শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে চাই।’
তবে অতীত আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি বিবেচনায় এ নিয়ে ভাবছে না আওয়ামী লীগ মন্তব্য করে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘আন্দোলনের কথা বলতে হলে বিএনপি কি আন্দোলন করবে সেটা বিএনপিই জানে। বাংলাদেশের মানুষ গত পাঁচটি বছর এই ধরনের ঘোষণা বহুবার দেখে আসছে। অতএব আমরা এটা নিয়ে কিছুই ভাবছি না, দেশের জনগণও ভাবছে না।’
ইফতার পার্টি কেন্দ্রিক রাজনীতি নিয়ে দ্বিমত থাকলেও এর মাধ্যমে নেতাকর্মীদের মধ্যে যে সৌহার্দ্য সৃষ্টি হচ্ছে তা মানছেন সবাই।
সময় টিভি থেকে নেয়া