তাছলিমা আক্তার:-বহুল আলোচিত আবেদনময়ী মেয়ে খাদীজা আকতার ময়না পাখি অরফে লাবণ্য,যার আরেক নাম দুষ্ট পাখি,অরফে চাঁদেরকণা পাখি,অরফে স্বপ্নকুুুুমারী(দুষ্ট মিষ্টি) । নামের সাথে তার গল্পের পুরোটা মিল রয়েছে। টল টলে যৌবন আর উদিপ্ত চেহারায় যে কেউরই নজর কাড়ে । সে বর্তমানে রাজনীতির লেবাসে চালিয়ে যাচ্ছে নানা অনৈতিক কর্মকান্ড। ঢাকার উচু তলার কর্লগাল হিসাবে রয়েছে তার বেশ পরিচিতি । এভাবেই সে নারী লোভী বিভিন্ন শ্রেণী পেশার কিছু পুরুষের নজরে পড়ে । তাকে নিয়ে গোঠা ঢাকা তথা তার এলাকা জুড়ে শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন ও জল্পনা কল্পনা । ঘনিষ্ট একাধিকজন জানিয়েছে তার রয়েছে নানা রুপ পরিচয়। সে কখনও এডভোকেট ,কখনও সাংবাদিক , কখনও আবার বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ এমন নানা পরিচয় দিয়ে জন সাধারনের চুখে ফাঁকি দিচ্ছে। ধুমপান থেকে শুরু করে ইয়াবা সেবন এমন কোন নেশা নেই যা ময়না করে নাই, কি তার আসল পরিচয় এ নিয়ে পাচঁ পর্বের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করেছেন আমাদের নিজস্ব প্রতিনিধি তাছলিমা আক্তার।
কে এই ময়না পাখি : যতদূর জানাযায় সে বরিশাল টেমরালী এলাকায় পারিবারিক ভাবে বেড়ে উঠে। জনস্রুতি আছে যৌবনকাল থেকেই ময়না পাখি উগ্রভাবে চলাফেরা করে। শুরু হয় তার গোপন মিশনের ছুটা ছুঠি। জীবন-জীবিকা নির্বহের তাগিদে পা রাখে ঢাকা নগরীতে। এখানে কিছু দিন চলতে না চলতেই প্রেমের সম্পর্ক হয় সাতখীরার এক ছেলের সাথে। এক সময় তা গড়িয়ে যায় দৈহিক সম্পর্কে । ছলে বলে কৌশলে ঐ ছেলের হাত ধরে নাম মাত্র বিয়ের পিড়িতে বসে ময়না পাখি। এই সুবাধে তার কুলে আসে এক ছেলে ।
এর পর ঔ স্বামী প্রবাসে চলে যায়। ময়না পাখি শুরু করে নতুন মিশন। কথায় আছে , “ যার যে নীতি হজ্জ্ব করলেও ঘটেনা চ্যুতি ” এই কথাটাই রপ্ত করেন তিনি । একজন স্বামীর সংসারে সুখ খুজেঁ পাননি এই কাঙ্গালীনি রমনী। সে একাধীক পুরুষের যৌন তৃপ্তিতে সুখি হতে চায়। শুরু হয় ব্যাপোরোয়া চলাফেরা। তাই ব্যাপোরোয়া চলাফেরা,ইয়াবা সেবন ও অসামাজিকতারদায়ে গত ২০১৪ সালে পুলিশ ঢাকার একটি হোটেল থেকে এক যৌন সংঙ্গী সহ থাকে গ্রেপ্তার করে। এর পর থেকে ঐ থানার ওসির সাথে তার সখ্যতা গড়ে উঠে। এ সব জেনে জৈনক প্রবাসী স্বামী ময়না পাখির খুজ খবর রাখেন না। এ থেকে দেশের প্রতিষ্টিত শিল্পপতি , প্রবাসী ও রাজনীতিবিদদের মনোরঞ্জনের খোরাক হিসেবে নিজেকে জাহির করতে শুরু করে ময়না পাখি । শুরু হয় ঢাকা জোড়ে তার যৌন সঙ্গি চষার মিশন। সেই সাথে একটা আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকার সম্পাদককে ম্যানেজ করে ঔ পত্রিকার বিনোদন প্রতিনিধি হয়। তখন তাকে আর থামায় কে। ঢাকা শহর জুড়ে শুরু করে ইয়াবা ব্যবসা।
এক পর্যায়ে সে কিছু নারী লোভী লোকের চুখে পড়ে।নিজের রূপ যৌবন আর বিউটি পার্লারের সাজ সজ্বাকে পুঁজি করে উড়ন্ত পাখি হয়ে রূপের নেশায় আকৃষ্ট করে একাধিক নারী খেকো লোককে নিয়ে মধু চক্রে জড়িয়ে যায় । এ পর্যন্ত অনেকে হয়েছেন ব্ল্যাক মেইলিংয়ের শিকার। ওর প্রথম টার্গেট থাকে প্রবাসী,এতে অনেকটা সফল হচ্ছে এই ময়না পাখি। হাতিয়ে নিচ্ছে প্রবাসীদের কষ্টে অর্জিত কাড়ি কাড়ি টাকা । এমন কাহিনীর সত্যতা একাধিক।
বেশামাল যৌবনের অধিকারী হওয়ায় স্বামীর অবাধ্য এই ময়না পাখি একাধিক জনকে স্বামী পরিচয় দিলেও প্রকৃত পক্ষে এখানে তার কোন স্বামী নেই। অসহায় প্রেমিকগণ লোক লজ্জা আর পারিবারিক মান সম্মানের কথা চিন্তা করে চুপসে যান। বর্তমানে ফেনী সোনাগাজী কাজীরহাট আলামপুর কাটাখিলা মাদ্রাসা সংলগ্ন বেপারীবাড়ীর খালেক সাহেবের ৩য় পুত্র সৌদিআরব প্রবাসী গিয়াস উদদীনের সাথে ফেইসবুকে পরিচয়। এ পরিচয় এক পর্যায়ে দৈহিক সম্পর্কে রুপনেয়। প্রবাসী গিয়াস উদ্দিনও বিবাহিত এবং এক সন্তানের জনক। ময়নার ব্ল্যাক মেইলিংয়ের স্বীকার হয়ে ২য় বিবাহ করে গিয়াস উদ্দিন। কিন্তু বিষয়টি স্ব স্ব এলাকায় টপ অব দ্যা ষ্টরি হিসেবে প্রকাশ পায় । কিন্তু তার কোন বৈধ আয়ের উৎস নেই। কাচা টাকার বিনিময়ে যে কারও সাথে নিশী যাপন করতে পারে। যা তার ফেইসবুক দেখলেই বুঝা যায়। শুধু তাই নয় প্রেমের অভিনয় করে টাকা হাতিয়ে নেয়া তার অন্যতম পেশা। ব্ল্যাক মেইল করে অনেক মহিলার সুখের সংসারে তুষের আগুন জ্বালিয়ে দেয় এই ছলনাময়ী ময়না পাখি। (চলবে)