এম রবিউল্লাহ: মুসলমানদের কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে মার্কিন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ব্রিটেনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন লন্ডনের প্রথম নির্বাচিত মুসলিম মেয়র সাদিক খান। শুক্রবার এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এই আমন্ত্রণ জানান সাদিক খান। ইসলাম পশ্চিমাদের আধুনিকতার সঙ্গে অপূর্ণ বলে ট্রাম্প যে ধারণা পোষণ করেন তা প্রত্যাখান করে মুসলমানদের প্রতি ট্রাম্পের এই ধারণা আদৌ যথাযথ নয় বলে সাক্ষাতকারে জানান সাদিক খান। খবর প্রেস টিভির।
সাদিক খান বলেন, আমি চাই ডোনাল্ড ট্রাম্প লন্ডনে আসুক। আমি নিজেকে তার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবো। আমি মূলধারার একজন মুসলিম। আমি পশ্চিমাদের স্বাধীন মূল্যেবোধকে সম্মান করি। আমি তাকে এই দেশের হাজারো মুসলমানের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবো যারা সাহসের সঙ্গে বলতে পারবেন একই সঙ্গে তারা ব্রিটেনকে ও পশ্চিমাদের মূল্যেবোধকে ভালোবাসে। আমি ট্রাম্পকে প্রমাণ করে দেবো একই সঙ্গে কিভাবে মুসলিম ও পশ্চিমা নাগরিক হওয়া যায়। পশ্চিমাদের মূলোবোধ থেকে কোনোভাবেই মুসলিমরা পিছিয়ে নেই বলে ট্রাম্পের মন্তব্যের নিন্দা করেন খান।
আমেরিকার সান বার্নাডিনো ও ক্যালির্ফোনিয়ায় আইএস জঙ্গি গ্রুপের হামলার পরে ডিসেম্বরে ট্রাম্প আমেরিকায় মুসলিমদের সম্পূর্ণভাবে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানান। ট্রাম্পের ওই বক্তব্য আমেরিকার বিভিন্ন মহলসহ সারা বিশ্বে তীব্র নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় তোলে।
পাকিস্তানি গাড়ি চালকের পুত্র সাদিক খান গত সপ্তায় কনজারভেটিভ পার্টির বিলিনিয়ারি জ্যাক গোল্ডস্মিথকে পরাজিত করে লন্ডনের মেয়র নির্বাচিত হন। জ্যাক ‘ডগ হুইসেল’ নামের একটি নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে সাদিক খানের ধর্মীয় বিশ্বাসকে চরমপন্থিদের সঙ্গে সংযোগ করতে চেয়েছিলেন। জ্যাকের এই অভিযানের নিন্দা জানিয়েছিলেন সাদিক খান।
মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পরে ট্রাম্পকে প্রতিহত করে হিলারিকে সমর্থন জানিয়ে ধনকুবের ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করতে হিলারির পক্ষে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছেন সাদিক খান।
চলতি সপ্তায় ডোনাল্ড ট্রাম্প নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, আমি সাদিক খান নির্বাচিত হওয়ায় খুশি। মুসলিম মেয়র হিসেবে তার আমেরিকায় মুসলমানদের প্রবেশের নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবেন। ট্রাম্পের এই প্রস্তাবনা প্রত্যাখান করেন সাদিক খান। একই সঙ্গে হিলারিকে সহায়তার জন্য তিনি নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই আমেরিকা সফর করার কথা জানান।