মমিনুল ইসলাম: পাকিস্তানে এবার পানামা পেপার্স কেলেঙ্কারীতে নাম জড়ালো দেশটির পরমাণু কর্মসূচির জনক বিশিষ্ট পদার্থ বিজ্ঞানী আবদুল কাদির খানের পরিবার। পানামার আইনী পরামর্শক প্রতিষ্ঠান মোসাক ফনসেকার ফাঁস হওয়া গোপন নথিতে নাম এসেছে একে খানের ভাই আবদুল কাইয়ুম খান, স্ত্রী হেন্দরিনা, তার দুই মেয়ে দিনা ও আয়েশা খানের নাম। বাহামা দ্বীপপুঞ্জে ওয়াহদাত লিমিটেড কোম্পানির রেজিস্টারে মালিক হিসেবে তাদের নাম পাওয়া গেছে।
মোসাক ফনসেকার নথি অনুযায়ী, বাহামায় ১৯৯৮ সালের ২১ জানুয়ারি নিবন্ধন করা হয় কোম্পানিটির নাম। এতে, মালিক হিসেবে করাচির আব্দুল কাইয়ুম খান ও ইসলামাবাদের হেন্দরিনা খান, দিনা খান ও আয়েশা খানের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়। এতে আরও দেখা যায়, নিবন্ধনের দুই বছরের মাথায় নিস্ক্রিয় হয়ে যায় কোম্পানিটি।
আবদুল কাইয়ুম খান ৮০ বছর বয়সী পরমাণু বিজ্ঞানী একে খানের বড় ভাই। তিনি ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে অসুস্থতাজনিত কারণে মারা গেছেন। হেন্দরিনা দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্মগ্রহণ করা ডাচ নারী। তার একে খানের সঙ্গে বিয়ে হয় ১৯৬৪ সালে। এ দম্পতি নেদারল্যান্ডে বসবাসকালে তাদের দুই মেয়ে দিনা ও আয়েশা জন্মগ্রহণ করে।
ওয়াহদাত লিমিটেডের নিবন্ধন করা হয় ১৯৯৮ সালের জানুয়ারিতে। এর কিছু দিন পরেই এ বছরের মে মাসে পারমাণবিক পরীক্ষা চালায় পাকিস্তান। পরের বছর ১৯৯৯ সালের ১২ অক্টোবরের অভ্যুত্থানের কয়েক মাস পর ৩১ ডিসেম্বরে নিস্ক্রীয় হয় কোম্পানিটি।
এ কে খান ফোনে সংবাদ মাধ্যম ডনকে জানান, আমি কখনও এ কোম্পানির নাম শুনি নাই। আমার স্ত্রী মেয়ে কেউই জড়িত নয়। আমার ভাই কয়েক বছর আগে মারা গেছে। সবাই জানে সে হাবিব ব্যাংকে কর্মরত ছিল।
তিনি বলেন, আমার স্ত্রী ও মেয়েরা এ কোম্পানির কোন কাগজপত্রে কখনই স্বাক্ষর করেনি। ওইসব কাগজপত্রে দেয়া স্বাক্ষর নিশ্চিতভাবেই ভুয়া। আমার ভাই কখনই এটা নিয়ে আমার ও আমার পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করেনি। পানামা পেপার্সে প্রকাশিত হওয়ার পরই কেবল জানতে পারলাম। ডন ও হিন্দুস্তান টাইমস।