আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীনের গুমাম কিলার মিসাইল এখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা উদ্বেগের কারণ। এই চীনা মিসাইলটি ৩ হাজার ৪শ’ মাইল দূরে আঘাত হনতে সক্ষম। প্রশান্ত মাহাসাগরীয় অঞ্চলের বেশিরভাগ মার্কিন সামরিক স্থাপনা এই মিসাইলের আঘাত ক্ষমতার মধ্যে। ক্ষেপণাস্ত্রটি ওই অঞ্চলের শান্তির জন্যও হুমকি মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসের একটি প্যানেল চীনের এই ক্ষেপণাস্ত্রের বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কয়েক দিন আগে একটি মার্কিন ডেস্ট্রয়ার দক্ষিণ-চীন সাগরের একটি দ্বীপের কাছে গেলে দেশ দু’টির মধ্যে উত্তেজনা আরো বেড়ে যায়। দ্বীপটিকে চীন নিজের বলে দাবি করে।
চীনের মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ডিএফ-২ এর ডাক নাম গুয়াম কিলার। দ্য ইউএস-চায়না ইকোনোমিক এন্ড সিকিউরিটি রিভিউ কমিশন সম্প্রতি বলেছে এই ক্ষেপনাস্ত্রটি চীনকে অভুতপূর্ব আক্রমন সক্ষমতা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের গুয়াম অঞ্চল এখন এই মারণাস্ত্রের আ্ওতায়। প্রতিষ্ঠানটি আরো বলেছে, গত সেপ্টেম্বরে বেইজিং-এ একটি সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। কমিশনের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, চীনের যেসব সমরাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রের স্থাপনায় আঘত হানতে সক্ষম, ডিএফ-২৬ হলো সেগুলোর মধ্যে সর্বোত্তম।আর এটা চীনের কয়েক দশকের মিসাইল গবেষণার প্রকৃষ্ট উদাহারণ। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় চীনের আঘাত-সক্ষমতাকে অধুনিকায়নে দেশটির প্রচেষ্টা এ কথাই নির্দেশ করে যে, ঝুঁকি বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেস ২০০০ সালে এ কমিশনটি তৈরি করেছিলো চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয় দেখভাল করার জন্য।
প্রশান্ত মাহাসাগরের গুয়াম দ্বীপে রয়েছে যুক্তরাষ্টের এন্ডারসন বিমানঘাঁটি আর অ্যপরা নৌঘাটি। এই সামরিক স্থাপনা থেকে যুক্তরাষ্ট্র প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শক্তি প্রদর্শণ করতে পারে নিরাপদ দূরত্বে থেকে। এই স্থাপনাটি উত্তর কোরিয়া থেকেও নিরাপদ দূরত্বে অবস্থিত। চীনের ডিএফ-২৬ মিসাইল বা গুয়াম কিলার এই সমারিক স্থাপনার জন্যউ হুমকী হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া চীন কেবল এইচ-৬কে বুমারু বিমান দিয়ে গুয়াম আক্রমন করতে পারে। তবে মার্কিন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সামনে এটা তেমন কার্যকর নয়। গুয়ামে রয়েছে মার্কিন সামরিক বাহিনীর ৬ হাজার সদস্য। আছে আধুনিক সব সমর সম্ভার। আর বিমান ও নৌ-বহরের নিয়মিত টহলও রয়েছে। চীনের ক্ষেপনাস্ত্র সজ্জা গুয়ামের জন্য ঝুঁকি বাড়িয়েছে। আর উদ্বিগ্ন করে তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনকে। সিএনএন।