ইলিয়াছ রিপন, মিরসরাই : চট্টগ্রামের মিরসরাই ট্র্যাজেডিতে নিহত ৪৫ ছাত্র স্মরণে দুর্ঘটনাস্থলে স্মৃতিস্তম্ভ অন্তিম এর উদ্বোধন করা হয়েছে।
শনিবার (১৪ মে) বড়তাকিয়া-আবুতোরাব সড়কের সৈদালী এলাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি।
মায়ানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির নিজামীর সঞ্চালনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম, সহ-সভাপতি জিতেন্দ্র প্রসাদ নাথ মন্টু, যুগ্ম সম্পাদক জসীম উদ্দিন, মিরসরাই কলেজের অধ্যক্ষ নুরুল আবছার, আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাফর সাদেক, প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌস হোসেন আরিফ প্রমুখ।
‘অন্তিম’ এর ডিজাইনার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষক সাইফুল কবির বলেন, চারপাশে পানি। মাঝে বৃত্তাকার বেদির ওপর ২০ ফুট উচ্চতার স্তম্ভ। মূল স্তম্ভ ঘিরে পর্যায়ক্রমে উঠে গেছে সাত ফুট উচ্চতার সাতটি আয়তাকার পিলার। সপ্তম পিলারের ওপর থেকে উপ-বৃত্তাকার উড়ালপথে ছয় ধাপের একটি সিঁড়ি লেগেছে মূল স্তম্ভের মাঝামাঝি গিয়ে। ৫ নম্বর পিলারের ওপর থেকে একটি ভাঙা স্টেট মূল স্তম্ভের গায়ে হেলে আছে। পাশে আছে একটি আয়তাকার পিলার। যেখানে রয়েছে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সেই ৪৫ ছাত্রের ছবি। বৃত্তাকার মূল বেদির তৃতীয় ধাপটির মাঝে জলাধার। চোখের জলের মাঝে জেগে আছ তোমরা এমন ধারণা থেকেই চারিদিকে জলাধার রেখে বড়তাকিয়া-আবুতোরাব সড়কের সৈদালীতে তৈরি হয়েছে স্মৃতিস্তম্ভ ‘অন্তিম’।
আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাফর সাদেক বলেন, ২০১১ সালে মিরসরাইয়ের মায়ানী, আবুতোরাব, মঘাদিয়া এলাকায় যা হয়ে গেছে তা কখনও পূরণ হওয়ার নয়। ঘটনাস্থলে ‘অন্তিম’ নির্মাণ হওয়ায় ওই ছাত্রদের স্মৃতির প্রতি অন্তত শ্রদ্ধা জানানো যাবে।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ১১ জুলাই মিরসরাই সদর থেকে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল খেলা শেষে বাড়ি ফেরার পথে বড়তাকিয়া-আবুতোরাব সড়কের সৈদালী এলাকায় ট্রাক উল্টে ডোবায় পড়ে এলাকার ৪৪ শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।