সিলেটের সকাল : ৭ জনের কাছ থেকে দুই কোটি ৯৪ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হওয়া গ্রেফতারকৃত আত্মসাৎকারী সেই আতিকুর রহমান এহিয়াকে (৪০) আদালতের মাধ্যমে শুক্রবার দুপুর ১২ টার দিকে কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এয়ারপোর্ট থানার ওসি গৌছুল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেফতারকৃত এহিয়া সিলেট নগরীর আম্ববখানা ইলেট্রিক সাপ্লাই রায়হোসেন এলাকার দিগন্ত ৮নং বাসার মৃত আব্দুল মালিকের পুত্র।
এর আগে ঢাকা মিরপুর ব্লক সি, লেন ৪, ২০নং বাসায় আতিকুর রহমান এহিয়া আত্মগোপন করে রয়েছে। গোপনে এমন সংবাদ পেয়ে গত বৃহস্পতিবার ভোর ৬ টার দিকে সিলেট এয়াপোর্ট থানার এএসআই শামীমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ পল্লবী থানা পুলিশকে সাথে নিয়ে অভিযান চালায়। সেখান থেকে সিলেট আদালতে জুনেদ আহমদ নামের এক ব্যক্তি ৬৮ লাখ টাকার একটি চেক জালিয়াতির দায়েরকৃত মামলায় (নং ১২৩৩/১৫) এহিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা গেছে, পাথর ব্যবসায়ী আতিকুর রহমান এহিয়া পাথর ক্রয় করার জন্য জুনেদ আহমদের কাছ থেকে ৬৮ লাখ টাকা নেন। কিন্তু পাথর না দিতে পারায় পরে ৬৮ লাখ টাকার একটি চেক প্রদান করেন জুনেদকে এহিয়া। চেকটি ব্যাংক থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়ে ফেরত আসে। পরবর্তীতে জুনেদ আহমদ টাকা না পেয়ে লিগ্যাল নোটিশের মাধ্যমে টাকা পরিশোধের অনুরোধ জানান। নোটিশ গ্রহণ করলেও টাকা পরিশোধ করেননি এহিয়া। এতে আদালত এহিয়া বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। এর প্রেক্ষিতে এয়ারপোর্ট থানার এএসআই শামীম আহমদ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা পল্লবী থানার মিরপুর সি ব্লক, লেন ৪, ২০ নং বাসা থেকে এহিয়াকে গ্রেফতার করে এয়ারপোর্ট থানায় নিয়ে আসা হয়। গতকাল দুপুরে তাকে ওই মামলায় আদালতের মাধ্যমে জেলে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
শুধু তাই নয় আতিকুর রহমান এহিয়া আম্বরখানার মো. হোসেন বাবরে ৪৫ লাখ টাকা, হামিদ ৪০ লাখ টাকা, জালালাবাদ এলাকার হেলাল ১০ লাখ টাকা, শাহী ঈদগাহের দুলাল আহমদ ১০ লাখ টাকা, শিবগঞ্জ এলাকার মাসুদ আহমদ ৬১ লাখ টাকা ও দক্ষিণ সুরমার জসিম উদ্দিন ৬০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে আত্মগোপনে চলে যান এহিয়া। এদিকে এহিয়া গ্রেফতারের সংবাদ পেয়ে ৬/৭ জন পাওনাদার গত বৃহস্পতিবার রাতে এয়ারপোর্ট থানায় হাজির হন। এসময় তারা পাওনা টাকা উদ্ধারের জন্য মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন থানা পুলিশের কাছে। তারা অভিযোগ করেন, উল্লেখিত টাকাগুলো নিয়ে আতিকুর রহমান এহিয়া আত্মগোপনে চলে যাওয়ার পর তার স্ত্রীকে দিয়ে একাধিক থানায় নিখোঁজ জিডি এন্ট্রি করিয়েছেন।
এ ব্যাপারে এএসআই শামীম আহমদ জানান, এহিয়ার বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতি একাধিক মামলা রয়েছে। গতকাল তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।