সিলেটের সকাল রিপোর্ট : বহুল প্রতীক্ষিত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবি) শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি দীর্ঘ ১৪ বছর পর গঠিত হলেও হাইব্রিড কমিটি হিসেবে আখ্যায়িত করছেন অনেকে। এছাড়া অছাত্ররা এগিয়ে আছে কমিটিতে। এমনটা অভিযোগ উঠেছে সকল মহলে। এনিয়ে নানা গুঞ্জণ ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে ক্যাম্পাস সহ সিলেটের বিভ্ন্নি মহলে। কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো দখল করে আছে অছাত্ররা।
গুঞ্জণ ওঠা শাবির হাইব্রিড কমিটিতেও ১১ জন অছাত্র তাদের স্থান পরিপোক্ত করে নিয়েছেন। তারা সবায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা জীবন শেষ করে কেউ কেউ কর্মজীবনে প্রবেশ করেছেন। আবার কেউ কেউ কর্মজীবনের অপেক্ষায় আছেন।
তারা হলেন- ইংরেজী বিভাগের ২০০৮-০৯ শিক্ষা বর্ষের মোঃ রুহুল আমিন (৩য় সহ-সভাপতি- তার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ রয়েছে), রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তুহিনুর রহমান (৪র্থ সহ-সভাপতি), লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষের কামরুর ইসলাম (৫ম সহ-সভাপতি), একই শিক্ষাবর্ষের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মুহিবুর ইসলাম মিছবা (৬ষ্ঠ সহ-সভাপতি), লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী আবদুল কাদির রেদোয়ান (১০ম সহ-সভাপতি), রাসয়ন বিভাগের ইয়াসিনুল হায়দার রুপক (১১তম সহ-সভাপতি), রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০০৭-০৮ বর্ষের আলী আকবর (১৪ তম সহ-সভাপতি), লোক প্রশাসন বিভাগের ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষের শরিফুল ইসলাম বুলবুল (১৬তম সহ-সভাপতি), লোক প্রশাসন বিভাগের একই বর্ষের শিক্ষার্থী মোস্তাক আহমেদ মিয়াজী (৩য় সাংগঠনিক সম্পাদক- বিবাহিত), রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের ২০০৭-০৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আবীর হাসানকে (ছাত্রবৃত্তি সম্পাদক), সমাজকর্ম বিভাগের ২০০৮-০৯ শিক্ষাবষের্র শিক্ষার্থী আব্দুস সালাম মঞ্জু (৭ম সহ-সম্পাদক)।
অভিযোগগুলো সম্পর্কে জানতে চাইলে সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থ বলেন, কমিটিতে বিবাহিত কেউ আছে বলে আমার জানা নাই। তবে যাদের কোর্স শেষ তারা আবার হয়তো বিভিন্ন কোর্সে ভর্তি হবে।
যোগাযোগ করা হলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন বলেন, আপনাদের কাছে যে সকল অভিযোগ আসছে, আরও যদি আসে আমরা সেগুলো খতিয়ে দেখব। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।