আরিফ চৌধুরী : দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বির ‘একতরফা ম্যাচে’ তামিমের ঢাকা আবাহনীকে ৮ উইকেটে হারিয়ে প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠেছে মুশফিকুর রহিমের ঢাকা মোহামেডান। এই ম্যাচকে তার ক্যারিয়ারে আবাহনী ও মোহামেডানের মধ্যে সবচেয়ে বাজে ম্যাচ বলেছেন আবাহনী অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ মানে যে বাড়তি উত্তেজনা, যে বাড়তি প্রতিদ্বন্দ্বিতা তার কোন কিছুই ছিলো না মিরপুরে।
টসে জিতে আগে তামিমের আবাহনীকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিলেন মোহামেডানের ক্যাপ্টেন মুশফিক। ৪ রানে তামিম, ৩ রান করে লিটন দাস বিদায় নিলে শুরুতেই ব্যাকফুটে চলে যায় আকাশী-হলুদরা। আবাহনী ইনিংসের সর্বোচ্চ স্কোরার যুবদলের নাজমুল হাসান শান্ত। তার ৪২ এবং তাসকিনের ৩৮ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
শুভাশিষের ৩ আর নাইম ইসলাম, হাবিবের দুটো করে উইকেট শিকারে ১৮৩ রানে অলআউট আবাহনী। জবাব দিতে নেমে ব্যাটিংয়েও একতরফা আধিপত্য ছিলো মোহামেডনের। রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে সৈকত আলি ফিরে গেলেও শ্রীলংকান উপল থারাঙ্গা আর এজাজ মিলে গড়েন ৯৭ রানের পার্টনারশিপ।
ওপেনার এজাজ ৪২ আর ক্যাপ্টেন মুশফিক ১৭ রান করে ফিরেন, কিন্তু আসল কাজ শেষ করে থারাঙ্গা নট আউট ছিলেন ৭৭ রানে। ৩৭ বল না খেলেই মোহামেডান ম্যাচ জিতেছে ৮ উইকেটে।
ম্যাচ শেষে তামিম নিজেও স্বীকার করেছেন আবাহনী-মোহামেডানের এমন নিরুত্তাপ ম্যাচ অন্তত তার ক্যারিয়ারে প্রথম।
আবাহনী লিমিটেডের অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেন, এই ধরণের ক্রিকেট খেলতে থাকলে আমরা খুব একটা ভালো রেজাল্ট করবো না। যেভাবে হচ্ছে সেভাবেই হতে থাকবে। আমি আবাহনী বা মোহামেডানে এ পর্যন্ত যতদিন খেলেছি হয়তোবা এটাই সবচেয়ে খারাপ।
ডার্বি ম্যাচে বল হাতে ১০ ওভারে ৩৪ রানে ৩ উইকেট নেওয়া মোহামেডান পেসার শুভাশিষ রায়ই হন ম্যাচ সেরা।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ শুভাশিষ রায় বলেন, এই ম্যাচেও টার্গেট ছিলো যত কমে আটকে রাখা যায়। ব্রেক থ্রু পাওয়ার পরে আমরা অ্যাটাকে গেছি এবং সফল হয়েছি।
মোহামেডানের শীর্ষে ওঠার দিন সাভারে প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে ডিএল মেথডে ৯ রানের জয় পেয়েছে ভিক্টোরিয়া, লিগে তাদের চতুর্থ জয়ে পয়েন্ট টেবিলে দ্বিতীয় স্থান নিশ্চিত হয়েছে মুমিনুলদের। আর ফতুল্লায় প্রাইম দোলেশ্বরকে ৬ উইকেটে হারিয়ে তৃতীয় এখন লিজেন্ডস অফ রূপগঞ্জ। চ্যানেলআই