মুরাদ হাসান ও খন্দকার তারেক : বজ্রপাতে সারাদেশে আরও ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বজ্রপাতে ৪০ জনের বেশি লোক নিহত হয়।
প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদ-
রাজবাড়ী : জেলার কালুখালী ও গোয়ালন্দ উপজেলায় বজ্রপাতে তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- কালুখালী উপজেলার হরিণবাড়িয়া গ্রামের বিল্লাল হোসেন ব্যাপারী (৪০), ভাগলপুর গ্রামের জাহের আলী শেখ (৪৫) ও গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের ওমেদ ব্যাপারী পাড়ার সোবহান সরদার (৫০)। শুক্রবার দুপুরে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।
নওগাঁ : নওগাঁর পোরশা উপজেলার নিতপুর দীঘিপাড়া ও মহাদেপুর উপজেলার ধঞ্জইল গ্রামে বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- নীতপুর দীঘিপাড়া গ্রামের গোলজার হোসেনের ছেলে ইব্রাহীম (১৩) ও মহাদেপুর উপজেলার ধঞ্জইল গ্রামের কৃষক সচীন মুহুরী। স্থানীয়রা জানান, সকালে ঝড়-বৃষ্টির সময় বাগানে আম কুড়াতে গেলে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই কিশোর ইব্রাহীম মারা যায়। মহাদেবপুর উপজেলার ধঞ্জইল গ্রামের পাশে মাঠে ফসল দেখতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান সচীন মুহুরী নামে এক কৃষক।
নওগাঁ সদর আধুনিক হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. মাহফুজার রহমান বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় বজ্রপাতে প্রাণ গেছে দুই স্কুলশিক্ষার্থীর। নিহতরা হলো- উপজেলার খড়ক গ্রামের আব্দুস সালাম মন্ডলের ছেলে আনিসুর রহমান (১৩) ও বেতুয়া পৌলশিয়া গ্রামের মোকলেসুর রহমানের মেয়ে লিমা আক্তার (১৪)। শুক্রবার দুপুরে ঘরে থাকাই অবস্থাই বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়।
জয়পুরহাট: জয়পুরহাট : জয়পুরহাটে মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে দুই কৃষিশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকালে জয়পুরহাট সদর ও ক্ষেতলাল উপজেলায় পৃথক বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়। নিহত শ্রমিকরা হলেন- রফিকুল ইসলাম (৩২) ও মানিক হোসেন (৩৪)।
চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের পাহারতলীতে আমজাদ আলী (৩০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত আমজাদ আলী সাবেক মন্ত্রী আফছারুল আমীনের চাচাতো ভাই । শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বারুণী ঘাট বেড়িবাঁধ এলাকায় বজ্রপাত হয়।
এছাড়া বজ্রপাতে কিশোরগঞ্জের তাড়াইল, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা, চাঁদপুর, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া, গাইগান্ধা, মাগুরা, ঢাকার ধামরাই ও সাভারে আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।