সারীফা রিমু: দেশে যদি আসে জরিপ মানুষ হয় গরীব। দ্বীপ জেলা ভোলায় এখনও এটি প্রচলিত প্রবাদ। জরিপ অফিসে অসাধু কর্মকর্তাদের প্রতারণায় পড়ে সর্বশান্ত হতে হচ্ছে অনেক মানুষকে। চাহিদা মতো ঘুষের টাকা না পেলে এক জনের জমি রেকর্ড করে দেয়া হচ্ছে অন্যজনের নামে।
অসাধু চক্রের এই সিন্ডিকেট নিয়ে অভিযোগ থাকলেও তা যেন শোনার কেউ নেই।
স্বামীর মৃত্যুর পর ভিটে-মাটি আকড়ে ধরে পড়ে আছেন ফরিদা বেগম। চার দশক ভোগ দখলে থাকা এই ২২ শতাংশ জমিটুকুই শেষ সম্বল তার। কিন্তু সম্প্রতি পরিবারটি হঠাৎই জানতে পারে তাদের জমি রেকর্ড করে দেয়া হয়েছে প্রতিবেশি একজনের নামে।
এ সময় ফরিদা বেগমের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ঘুষের টাকাও দেয়া হয়েছে ভোলা সদর জরিপ অর্ফিস রেকর্ড তৌহিদুল ইসলামকে। তবে বরাবরের মতোই ক্যামেরার সামনে এই অভিযোগ অস্বীকার করেন তৌহিদুল ইসলাম। কিন্তু চাপের মুখে ফরিদা বেগমের পরিবারের একজনকে ডেকে ১৫ হাজার টাকা বুঝিয়ে দেয়ার সময় গোপন ক্যামেরায় ধরা পড়ে যায় চিত্র । সেই সাথে কথা কাটাকাটি চলছিলো ঘুষের দুই লাখ টাকা নিয়েও।
সাধারণ মানুষকে এভাবেই ভুলের ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায়ের অভিযোগ আছে ভোলা সেটেলমেন্ট অফিসের অসাধু কর্মচারিদের বিরুদ্ধেও। যদিও এসব মানতে নারাজ সহকারি সেটেলমেন্ট অফিসার অধীর চন্দ্র কর্মকার।
জমির মালিকানা নিষ্কটক করতে সেবা প্রত্যাশিরা দিনের পর দিন ঘুরে বেড়াচ্ছে জেলা প্রশাসকের কার্যলয় প্রাঙ্গণে। অথচ কর্মকর্তারা তাদের আর্জি শুনতে রাজি নয় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
যমুনা টিভি