গাজী মিরান : পাকিস্তানের এমন কর্মকা- ১৯৭১’এর ১৯৫ জন সেনাসদস্যকে বাঁচানোর জন্য বলে মন্তব্য করেছেন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন।
শুক্রবার একাত্তর টেলিভিশনে ‘একাত্তর জার্নাল’ অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানের এমন প্রতিক্রিয়ার পিছনে শুধু যে জামায়াতে ইসলামী নেতাদের ফাঁসির জন্য, সেটা কিন্তু বিষয় নয়। আমাদের ফিরে যেতে হবে ১৯৭১ সালে, জামায়াতে ইসলামীকে যেভাবে দোষারোপ করা হচ্ছে তাঁরা ছিল সহায়ক শক্তি।
তিনি বলেন,‘তখনকার সময়ের মূল যুদ্ধাপরাধ করেছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। তখনকার সময় যাদের মধ্যে ১৯৫ জনের বিচার হওয়ার কথা ছিল’ যেটা তখন যে কোন কারণে হয়নি। সুতরাং পাকিস্তানের শঙ্কা হচ্ছে যদি বাংলাদেশ পাকিস্তানি ঐ ১৯৫ জন সেনাসদস্যের বিচার শুরু করে অন্তর্জাতিক সহযোগিতায়, যেটা পাকিস্তানের জন্য সবচেয়ে বড় আতঙ্ক বলে আমি মনে করি।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বাংলাদেশ যাতে কোন কিছু না করতে পারে তাই পাকিস্তান ইসলামিক রাষ্ট্রগুলোকে সাথে নিয়ে এই ধরণের কর্মকা- চালাচ্ছে এবং সূত্র হিসেবে জামায়াতে ইসলামকে ব্যবহার করছে। যার কারণে যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে পাকিস্তান বেশ কয়েক বছর ধরেই নানা মন্তব্য করছে যেটি আসলে কূটনৈতিক আচরণের মধ্যে পড়ে না।
পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ব্যাপারে তিনি বলেন, একটি কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা আজকের বিশ্বে একটা গুরুতর ব্যাপার। কারণ একটা দেশের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর সেটাকে ছিন্ন করতে কিছু নিয়ম মেনে করতে হয়। প্রথমত, যুদ্ধক্ষেত্রে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা যায় এবং যদি দুই দেশের মধ্যে গুরুতর কোন বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব চলতে থাকে সেই ক্ষেত্রেও তা করা যায়।
তিনি বলেন, যদিও একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে পাকিস্তানের এমন কর্মকা- কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। কারণ তাদের বোঝা উচিৎ আমাদের দেশে বিচার হচ্ছে আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনেই। কাজেই পাকিস্তানের সাথে আমাদের সম্পর্ক আরও খারাপ থাকতে পারে কিন্তু এই অবস্থায় একেবারে ছিন্ন করা আমার মনে হয় সম্ভব না। কারণ পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক পর্যায় বাংলাদেশের সাথে অনেক কিছুর শেয়ার আছে। তাই সম্পর্ক হয়ত ছিন্ন করা যাবে না তবে সম্পর্ক ছোট করে আনাই ভাল হবে বলে আমি মনে করি।