ইয়াছিন রানা: ধানের দাম বাড়ানো, সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয়, ট্রেনে পণ্য পরিবহনে আলাদা বগি রাখা, কৃষকদের জন্য আলাদা বিদ্যুৎ বিল নির্ধারণ, কৃষকদের ব্যাংক ঋণ ০.১% ডিজিটে নামিয়ে আনা, পূর্বের কৃষি ঋণ মওকুফ করাসহ মোট দশটি দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টি কর্তৃক ‘কৃষক বাঁচলে, দেশ বাঁচবে’ ও কৃষকদের ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে মানববন্ধনে বক্তারা এসব দাবি জানান।
বক্তারা বলেন, ধানের বর্তমান উৎপাদন খরচ মণ প্রতি ৯০০ টাকা হলেও কৃষক বিক্রি করে ৫০০ টাকা। ফলে প্রান্তিক চাষী প্রতি মন ধানে প্রায় ৪০০-৪৫০ টাকা লোকসান সরকার ধানের দাম কেজিতে ২২ টাকা ও চালের মূল্য ৩২ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও প্রকৃত কৃষক এ দাম পাচ্ছে না। কারণ সরকার মাঠ পর্যায় থেকে ধান চাল সংগ্রহ করে না। সরকারের গুদামে কেবল মাত্র দালাল, ফরিয়া ও এক শ্রেণীর টাউটগণই ধান-চাল সরবরাহ করে থাকেন।
মানববন্ধনে ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট’র চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নিলু উক্ত দাবিসমূহকে বাস্তবায়নে কার্যকরি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।
তিনি বলেন, ধানের দাম ১২০০ টাকা করা হলে ভালো হয়। কারণ ২০০ টাকা যদি কৃষকদের লাভই না হয় তাহলে কৃষকরা উৎপাদন করবে কেন।
ইসলামিক পার্টির মহাসচিব জনাব মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে সত্য কিন্তু যে কৃষক গায়ের ঘাম ফেলে তার সর্বস্ব দিয়ে এ সফলতা আনলো তারা আজ চরম অবহেলিত।
এছাড়া উক্ত মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন এনডিপি’র চেয়ারম্যান আলমগীর মজুমদার, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান শেখ আনোয়ার হোসেন, স্বাধীনতা পার্টির মহাসচিব মিজানুর রহমান মিজু, ভাসানী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান মমতাজ চৌধুরী, এনপিপি’র মহাসচিব আবদুল হাই মন্ডল, এনপিপি’র প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ আবুল কালাম আজাদ, ন্যাপ ভাসানীর ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল হাই সরকার, ইসলামিক পার্টির উপদেষ্টা হাফেজ মাওলানা আব্দুল আজিজ, ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট ওয়াদুদ খন্দকার সহ প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মাহমুদুল হক আক্কাস।