আমিন ইকবাল : কোনো কোনো এলাকায় সাধারণ মানুষের ধারণাÑ জানাযার নামাজের কাতার বেজোড় হওয়া জরুরি। ফলে তারা জানাযার নামাজের কাতার জোড় সংখ্যা হলে তা বেজোড় করে দেন। তাদের এ ধারণা ঠিক নয়। হাদিসে আছেÑ ‘মালেক ইবনে হুবায়রা রা. যখন দেখতেন জানাযায় উপস্থিতির সংখ্যা কম তখন তিনি লোকদেরকে তিন কাতারে ভাগ করে দিতেন। এবং বলতেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে মৃতের উপর তিন কাতার মুসল্লি জানাযা পড়বে তার জন্য (জান্নাত) অবধারিত।’ [জামে তিরমিজি : হাদিস ১০২৮; সুনানে আবু দাউদ : হাদিস ৩১৬৬]
এ হাদিসের ভিত্তিতে ফকিহগণ বলেছেন, জানাযার নামাজে মুসল্লি সংখ্যা কম হলে তাদেরকে তিন কাতারে বিভক্ত করে দাঁড় করানো উত্তম। [শরহুল মুনইয়াহ ৫৮৮; হালবাতুল মুজাল্লি ২/৬১৩; ফাতহুল বারী ৩/২২২; রওযাতুত্তালেবীন ২/১৩১]
এ থেকে হয়তো কেউ কেউ বুঝেছেনÑ এর দ্বারা বেজোড় উদ্দেশ্য। আসলে এ দ্বারা জানাযার নামাজে তিন কাতারের কম না করা এবং অন্তত তিন কাতার করা যে মুস্তাহাব তা প্রমাণিত হয়। কিন্তু কাতার তিনের অধিক হলে বেজোড় করা জরুরিÑ এ কথা প্রমাণিত হয় না। তাই তিনের অধিক কাতারের ক্ষেত্রে বেজোড়ের প্রতি লক্ষ রাখা জরুরি নয়। মুসল্লি সংখ্যা বেশি হলে তিন বা তিনের অধিক জোড় বা বেজোড় যত প্রয়োজন কাতার করা যাবে।