সাজ্জাদুল হক : স্বাধীনতার ৪৫ বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে চাল, ডাল, তেল এবং মসলার মতো ভোগ্যপণ্যের কোনো বাস্তব নির্ভর পরিসংখ্যান প্রস্তুত করা হয়নি। গুরুত্বপূর্ণ এসব খাদ্য সামগ্রীর কি পরিমাণ পণ্য দেশে উৎপাদন হচ্ছে কিংবা কি পরিমাণ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে তার কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য কারো কাছ নেই। এ অবস্থায় আসন্ন বাজেটে পরিসংখ্যান প্রস্তুতের পাশাপাশি ব্যাংক ঋণের হার কমানোর দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশে ভোগ্যপণ্য সামগ্রীর মধ্যে শুধুমাত্র চাল ছাড়া ডাল, তেল, মসলাসহ অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের অধিকাংশই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। মূলত চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর এবং অন্যান্য স্থল বন্দর দিয়ে আমদানি হয় এসব ভোগ্যপণ্য। কিন্তু ভোগ্যপণ্য সংক্রান্ত সঠিক ও তথ্য নির্ভর কোনো পরিসংখ্যান না থাকায় প্রায়ই বাজারে নানা ধরণের সংকট দেখা দেয়।
ভোগ্যপণ্যের একটি পূর্ণাঙ্গ ডাটাবেস তৈরির জন্য আসন্ন বাজেটে ব্যবস্থা নিতে অর্থমন্ত্রীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি ভোগ্যপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ব্যাংক ঋণের সুদও কমানোর দাবি তাদের।
ভোগ্যপণ্য আমদানির সময় আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে মিল রেখে বাজেটে শুল্ক হার নির্ধারণেরও দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
মূলত অস্ট্রেলিয়া-কানাডা থেকে ডাল, ব্রাজিল থেকে চিনি ও গম, ইন্দোনেশিয়া-গুয়েতামালা-শ্রীলঙ্কা থেকে দারুচিনি-লবঙ্গ-জয়ফল, ভারত-চীন- মিয়ানমার থেকে জিরা, আদা, রসুন, পেঁয়াজ এবং মালেয়শিয়া থেকে ভোজ্য তেল আমদানি করা হয়। সময় সংবাদ