সাজ্জাদুল হক : রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউক থেকে অকুপেন্সি সনদ নেয়ার পরই ভবনে গ্যাস সংযোগ দেয়ার আইন থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। ভবন নির্মাণ বিধিমালা ২০০৮ এ অকুপেন্সি সনদ বাধ্যতামূলক করা হলেও তিতাস বলছে, তারা নাকি বিষয়টি জানেনই না। নগর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংস্থাগুলোর এমন সমন্বয়হীনতায় একের পর এক ঘটছে দুর্ঘটনা, বাড়ছে ঝুঁকি।
গ্যাস নামক প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া এ মূল্যবান সম্পদটি আমাদের যেমন জ্বালানি চাহিদা পূরণ করছে তেমনি সচল রাখছে আমাদের শিল্প-কারখানা। কিন্তু উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, যে হারে বর্তমানে এর ব্যবহার হচ্ছে এভাবে চলতে থাকলে ২০২৫ সালের আগেই ফুরিয়ে যাবে বর্তমান গ্যাসের জাতীয় মজুদ, এমনটাই মনে করছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা।
এমন অশনি সংকেতের পরও গ্যাসের ব্যবহারে নেই তেমন কোন সতর্কতা। বিশেষ করে বাসা বাড়িতে সংযোগ দেয়ার ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না আইন। ভবন নির্মাণ বিধিমালা ২০০৮ এ গ্যাস বা বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে অকুপেন্সি সার্টিফিকেটের বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা নাকি জানেই না তিতাস।
সংস্থাগুলোর এমন সমন্বয়হীনতায় অকুপেন্সি নিয়ে ভবন মালিকদেরও নেই মাথা-ব্যথা। এ নিয়ে নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, একটি ভবন আইন মেনে তৈরি করা হয়েছে কিনা তার একমাত্র মানদ- রাজউক থেকে দেয়া এই ছাড়পত্র।
বিশ্লেষকদের মতে, অকুপেন্সির বিধান না মানায় বাণিজ্যিকভাবে গ্যাস ব্যবহার করে বিল দিচ্ছে আবাসিক ব্যবহারের। এর ফলে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। সময় সংবাদ