সীমান্ত আরিফ: সরকার উৎখাত ষড়যন্ত্রের যেসব ‘গোপন’ বৈঠকের ছবি প্রকাশিত হচ্ছে তার কোনোটিই গোপন নয় বলে বন্তব্য করেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্ঠা অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান।
ছবি দেখেই বোঝা যায় বিভিন্ন ভঙ্গিতে পোজ দিয়ে ছবিগুলো তোলা হয়েছে। অর্থাৎ ফটোসেশন হয়েছে। এসব ফটোসেশন আদৌ কোন করা হয়েছে, ছবি কারা তুলেছেন, কেন তুলেছেন ।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি অর্থাৎ চট্টগ্রামের স্থানীয় নেতা আসলাম চৌধুরী। গত মার্চের জাতীয় সম্মেলনের পর অনেক নেতাকেই কেন্দ্রীয় পর্যায়ে তুলে আনার নীতি গ্রহণ করে বিএনপি, বিশেষ করে কেন্দ্রের শূন্যতা পূরণের জন্য। সেই অনেকের মতো আসলাম চৌধুরীরও ভাগ্যের সিঁকে ছিঁড়েছে দলে। অন্যদের সঙ্গে যুগ্ম মহাসচিবের পদ পেয়েছেন তিনি।
সারাদেশের বিএনপি নেতা-কর্মীদের কাছে অপরিচিত, জুনিয়র এক বিএনপি নেতা এই বড় কাজটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
শুধু খালেদা জিয়াই নন, দলের অন্য কোনো নেতা-নেত্রীও জানেন না। যা অবাক করার মতো বিষয়ই বটে।
অবাক ব্যাপার হলো, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি অর্থাৎ চট্টগ্রামের স্থানীয় নেতা আসলাম চৌধুরী। গত মার্চের জাতীয় সম্মেলনের পর অনেক নেতাকেই কেন্দ্রীয় পর্যায়ে তুলে আনার নীতি গ্রহণ করে বিএনপি, বিশেষ করে কেন্দ্রের শূন্যতা পূরণের জন্য।
আসলাম চৌধুরীর অন্য পেশাগত ব্যাকগ্রাউন্ডও ভালো নয়। তিনি চট্টগ্রামে স্থানীয়ভাবে জমি, প্লট ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবসা করেন বলে জানা যায়। যা আদতে উল্লেখযোগ্য কোনো ব্যবসা নয়। আন্তর্জাতিক কানেকশন তো নেই-ই।
সেই আসলাম চৌধুরী কীভাবে বিএনপির পক্ষ থেকে এতোবড়ো দায়িত্ব পেলেন, তাকে কেই-বা এ দায়িত্ব দিলো- এসব অত্যন্ত রহস্যজনক বিষয়। যদি গোপন বৈঠকই করবেন, তাহলে এমন ‘প্রমোদ ভ্রমণ’র ফটোসেশন কেন? তাও আবার ভারতে! গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ কী এতোই ‘বেখবর’ যে, তারা জানে না ভারতে বসে কিছু একটা করলে তা ফাঁস হয়ে যাবে?
সেই ভারতেরই দিল্লী, আগ্রাসহ বিভিন্ন স্থানে মোসাদের কথিত এজেন্ট মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন আসলাম চৌধুরী। একত্রে টেবিলে বসে খাচ্ছেন, হোটেলের সামনে ফুলের মালা গলায় পোজ দিচ্ছেন প্রভৃতি এমন ছবি প্রকাশিত হয়েছে। এসব ফটোসেশনে আরো কয়েক ব্যক্তিও সঙ্গে রয়েছেন। আদৌ কেন তারা দেখা-সাক্ষাত করেছেন, বিভিন্ন পোজে ছবি তুলেছেন, ফটোশেসন করেছেন, প্রমোদ ভ্রমণের মতো চলাফেরা করেছেন- এসব এখনো পুরোপুরি রহস্যাবৃত।