বিশ্বজিৎ দত্ত : চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি ইসরায়েল থেকে প্রকাশিত জেরুজালেম অনলাইনের সঙ্গে আলাপকালে ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা ও সাফাদি সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোমেসি অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনসের চেয়ারম্যান মেনদি সাফাদি বাংলাদেশ ও ইসরায়েলের মধ্যে কূটনৈতিক সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেন। উল্লেখ্য, সাফাদি ভারত সফরের সময়, বাংলাদেশি প্রতিনিধি শিপন কুমার বসু, রওশন জাহিদ প্রিন্স ও বিবেকদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। অনলাইনকে তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটি নির্বাচন করানো এবং নির্বাচনের পর ইসরায়েল ও বাংলাদেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপনের ব্যাপারে এ বৈঠকে সাফাদি ও বাংলাদেশি প্রতিনিধিদের মধ্যে একটি ঐকমত্য হয়।
বৈঠকে বলা হয়, বাংলাদেশে ইসলামপন্থীরা ক্ষমতাগ্রহণের পরে সেখানে হিন্দু ও খ্রিস্টান সংখ্যালঘুদের উপর চরম নির্যাতন চলছে। জাতিসংঘ বাংলাদেশের নির্বাচনের ফলাফলে স্বীকৃতি দেয় নাÑ এ ঘোষণা দেওয়ার পর দুই বছর চলে গেছে। এই নির্বাচনের ফলাফল বানোয়াট ছিল বলে প্রমাণিত হয়েছে। বাংলাদেশের পিএনবি পার্টি আন্তর্জাতিক কমিউনিটির মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের জন্য মেনদির সহযোগিতা চেয়েছেন। সাফাদি এ বিষয়ে সহযোগিতা করেছেন এবং ভারত সফরের অংশ হিসেবেও তিনি এ কাজটি করেন। ২০১৫ সালের ২৯ জানুয়ারি জেরুজালেম অনলাইনে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, নির্বাচনের পর বাংলাদেশে বিরোধী দলের নেতাদের থাকা বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। তারা দেশ ছেড়ে ইউরোপে আশ্রয় নেয়। তারা আমাকে ভারতে আমন্ত্রণ জানায় কারণ আমি একজন ইসরায়েলি হিসেবে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারি না। সেখানে নেতৃবৃন্দ আমাকে বলেন, আমি যেন তাদের হয়ে আন্তর্জাতিকভাবে লবিং করি যেন বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়। যাতে দেশে গণতন্ত্র ফেরত আসে। তারা আমাকে বলে, যখন বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফেরত আসবে তখন তারা ইসরায়েলের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করবে।
সাফাদির সাক্ষাৎকারে যেসব ভুল রয়েছে :
বাংলাদেশে পিএনবি পার্টি বলে কোনো রাজনৈতিক দল নেই। আর বাংলাদেশে ইসলামপন্থী কোনো দল ক্ষমতায় আসেনি। জাতিসংঘ বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচনের স্বীকৃতি দেয় না। এটিও সঠিক কথা নয়।
সম্পাদনা : হাসিবুল ফারুক চৌধুরী