আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ‘শিগগিরই সবক্ষেত্রে বাংলাদেশের দরজা ইসরাইলিদের জন্য খুলে দেয়া হবে। বাংলাদেশের সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। নতুন সরকার ইসরাইলের সঙ্গে পূর্ণ কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলবে।’ ইসরাইল ভিত্তিক অনলাইন সংবাদমাধ্যম ‘জেরুজালেম অনলাইন ডট কম’ অতি সম্প্রতি এমন সংবাদ ছেপেছে। সেখানে বলা হয়েছে, ইসরাইলের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোমেসি অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি’র প্রধান মেন্দি এন সাফাদি সম্প্রতি ভারত সফর করেছেন। সেখানে বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠক করছেন তিনি। ওইসব বৈঠকেই বাংলাদেশ সম্পর্কে এমন মন্তব্য করেছেন মেন্দি এন সাফাদি।
ইসরাইলের পররাষ্ট্রনীতি ও কূটনীতি বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাফাদি সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোমেসি অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনসের প্রধান মেন্দি সাফাদি বাংলাদেশের সরকার উৎখাতের মাধ্যমে নতুন সরকার ক্ষমতায় এনে ইসরাইলের সাথে কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের কথা বলেছেন।
‘জেরুজালেম অনলাইন ডট কম’ এর প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সরকারকে ‘বাংলাদেশে মুসলিম ব্রাদারহুড সরকার’ বলে অবিহিত করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য কাজ করছেন সাফাদি। এরপর নতুন একটি সরকার আসবে যারা ইসরাইলের সঙ্গে সম্পূর্ণরূপে কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলবে। সংখ্যালঘুদের নির্যাতনকারীদের বিচারের আওতায় আনতে এবং বঞ্চিত হাজার হাজার নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর বিলীন হওয়া ঠেকাতেও কাজ করছেন সাফাদি। তিনি সম্প্রতি ভারত সফর করছেন। সেখানে তিনি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সংখ্যালঘুদের দুর্দশা সম্পর্কে আলোচনা করছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এসব সংখ্যালঘু নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। ২০১৪ সালে মুসলিম ব্রাদারহুড সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর এই অবস্থার সৃষ্টি হয়।’
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ‘ভারত সফরে সাফাদি বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এসব বৈঠকে তিনি বিভিন্ন কাজের সমন্বয় করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বার্থ রক্ষায় কি করা যায় সেই বিষয়ে আলোচনা করছেন। তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক মানচিত্রের পরিবর্তন আনতে কাজ করে যাচ্ছেন। এই দেশটি কেবল সংখ্যালঘুদের জন্য হুমকি নয়, দেশটি সন্ত্রাসীদেরও স্বর্গ। সাফাদি বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। নতুন সরকার ইসরাইলের সঙ্গে পূর্ণ কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলবে।’
ওই অনলাইনের প্রতিবেদককে সাফাদি বলেন, ‘শিগগিরই সবক্ষেত্রে বাংলাদেশের দরজা ইসরাইলিদের জন্য খুলে দেয়া হবে। আর এটা অসম্ভব কোনো আকাক্সক্ষাা নয়। নির্যাতিত এবং মানুষের স্বাধীনতার জন্য কাজ করা একটি নৈতিক দায়িত্ব, সুতরাং আমি এখানে এসব মানুষকে সহায়তার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এখানে ঘটা সবকিছু বাস্তব, ফিলিস্তিনের মতো ষড়যন্ত্রমূলক নয়। এখানে মানুষ নির্যাতিত এবং হত্যার শিকার হয়, কারণ তারা ভিন্ন মতের। এখানে আমি ইসরাইলি হতে পেরে গর্বিত এবং আরো গর্বিত যে এখানকার অনেক মানুষকে আমি ইসরাইলের প্রতি সহানুভূতিশীল করে তুলতে পারছি। এমনকি এই দেশের নাগরিকদের পাসপোর্টেও লেখা থাকে ইসরাইল ছাড়া সব দেশ ভ্রমণ করতে পারবে। সেটাও আমি শিগগিরই পরিবর্তন করতে যাচ্ছি।’