ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী ও তার দুই সহযোগীর ৫৪ ধারায় ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
সোমবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে মহানগর ডিবি কার্যালয় থেকে আসলাম চৌধুরীকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে ১০দিনের রিমান্ডের আবেদন করে ডিবি পুলিশ কর্মকর্তারা।
এর আগে রবিবার রাজধানীর খিলক্ষেত থানা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার ব্যক্তিগত কর্মী মো. আসাদ ও গাড়িচালক আল আমিনকেও আটক করে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
সরকারি দলের নেতারা কয়েকদিন ধরে অভিযোগ করছেন, আসলাম চৌধুরী ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে যুক্ত হয়েছেন।
কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হচ্ছিল, সম্প্রতি ইসরাইলের ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির নেতা মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে নয়াদিল্লিতে একাধিক বৈঠক করেন আসলাম চৌধুরী।
ষড়যন্ত্র করে বাংলাদেশের সরকার উৎখাত করাই ছিল এসব বৈঠকের উদ্দেশ্য। গলায় ফুলের মালা পরা অবস্থায় সাফাদি ও আসলাম চৌধুরীর একত্রে ছবি প্রকাশিত হয়েছে গণমাধ্যমে।
এ ছাড়া একটি রেস্তোরাঁর এক টেবিলে এই দুজনের বসে কথা বলার ছবিও প্রকাশিত হয়েছে। ছবিগুলোর উৎস মেন্দি এন সাফাদির ব্যক্তিগত ফেসবুক পাতা ‘মেন্দি এন সাফাদি সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোমেসি অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস’। ওই পাতায় মেন্দি নিজেই ছবিগুলো প্রকাশ করেন।
গণমাধ্যমে এসব বৈঠকের ছবি ও খবর প্রকাশিত হওয়ার পর সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী ও সরকারি দলের নেতারা এটাকে ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিএনপির সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র বলে আখ্যা দেন।
এর আগে আসলাম চৌধুরী বলেন, তিনি গত মার্চে ব্যক্তিগত সফরে ভারতে গেলে অন্য একজনের মাধ্যমে সাফাদির সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তারা বিভিন্ন পর্যটন এলাকায় একসঙ্গে ঘুরেছেন, খাওয়াদাওয়া করেছেন, কিন্তু কোনো বৈঠক করেননি।
এ ছাড়া গত শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেন, ইসরাইলের সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই। কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রের প্রশ্নই উঠতে পারে না।
এ রকম বিতর্কের মধ্যেই রবিবার সকালে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কমিশনার ইকবাল বাহার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আসলাম চৌধুরীকে দেখামাত্রই গ্রেপ্তার করা হবে। এরপর রাজধানীর খিলক্ষেত থানা এলাকা থেকে তাকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ।