সকাল ডেস্ক : শৃংখলা ভঙ্গের দায়ে কমার্স কলেজের দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও ৯ জনের ভর্তি বাতিল করে ১৬ মে সোমবার ৯ জনকে ফের ভর্তি নিলো কলেজ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বহিষ্কৃত ২ জনের শাস্তির বিষয়ে অটল রয়েছেন তারা।
সোমবার কলেজটির প্রশাসনিক কর্মকর্তা এইচ এম শাহ আলম সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে কলেজ কর্তৃপক্ষ গত ১২ মে এক অফিস বিজ্ঞপ্তিতে শৃংখলা ভঙ্গের দায়ে দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও ৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করেছিল।
প্রসঙ্গত, কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শাস্তি হিসেবে কোনও শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করলে, সেই শিক্ষার্থীর পুনরায় ওই প্রতিষ্ঠানে বা অন্য যে কোনও প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ থাকে। কিন্তু কাউকে প্রতিষ্ঠান থেকে বহিষ্কার করা হলে, তার জন্য যে কোনও প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
কেন ভর্তি বাতিল করে পুনরায় ভর্তি নেওয়া হলো এবং বহিষ্কৃত দুই শিক্ষার্থীর বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত কি? সেটা কলেজটির প্রশাসনিক কর্মকর্তা এইচ এম শাহ আলম কথা বলতে চাননি। তিনি শুধু জানিয়েছেন এটা কলেজ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত।
এদিকে কলেজের প্রিন্সিপাল আবু সাইদকে সোমবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি গণমাধ্যমে কথা বলতে রাজি হননি।
দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও ৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করার কারণ হিসেবে জানা যায়, কলেজটির একাদশ শ্রেণির দুজন শিক্ষার্থী দুজন দুজনকে ভালোবেসে আবেগী হয়ে কলেজের বাইরে রাস্তায় একে অপরকে জড়িয়ে ধরে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এ সময় তাদের অন্য কয়েকজন বন্ধুরা তাদেরকে শুভকামনা জানায় এবং এই দৃশ্যটি মোবাইলে ভিডিও করে যা পরে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়ে।
ভিডিওটি থেকে জানা যায়, রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। একটু পরে বাকি শিক্ষার্থীরা হাতে হাত ধরে দুজনকে আলাদা করে মানববৃত্তের ভেতরে নিয়ে আসে। বৃত্তের ভেতরে ছেলেটি হাঁটু গেড়ে বসে মেয়েটির হাতে একটি আংটি পরিয়ে প্রপোজ করে। মেয়েটি ছেলের প্রপোজে সায় দেয় ও পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে।
এদিকে ওই দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও ৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করার পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনা চলছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ কেউ বলছেন, অন্যায় করেছে দুজন। তবে তাদেরকে শুধরানোর সুযোগ দেওয়া যেতো। কিন্তু শুধরানোর সুযোগ না দিয়ে তাদেরকে বহিষ্কার করাটা অন্যায় হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ৯ জনকে ফিরিয়ে নিলেও বহিষ্কৃত দুই জনের কী হবে? বহিষ্কৃত দুই শিক্ষার্থীর জীবনে যদি এই বহিষ্কারে ব্যাপক প্রভাব পরে তাহলে তার দায়ভার কে নেবে? কলেজ কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল দুই শিক্ষার্থীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে মীমাংসা করে নেওয়া।