আল-আমীন আনাম: ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (এনডিএফ) ও এনপিপি চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নিলু বলেন, ভারতের সঙ্গে আমরা সুসম্পর্ক চাই, কিন্তু নিজেদের অধিকার বিকিয়ে দিয়ে নয়। অন্য অনেক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক থাকলেও পানির বেলায় ভারতের নীতি আগ্রাসী। বিশ্বে বাংলাদেশের শ্রমবাজার নষ্ট করতে এই দেশের কপালে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও আইএসের কালিমা লেপে দেয়া হচ্ছে।
১৬ মে ফারাক্কা লংমার্চ উপলক্ষে সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এই আলোচনার আয়োজন করে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ ভাসানী।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া একেকবার একেক রূপ ধারণ করেন। তিনি ও তার পুত্র তারেক রহমান আসলামের মাধ্যমে মোসাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন ইন্দো-মার্কিন সম্পর্ক স্থাপনের লক্ষ্যে। তাকে বলবো-ষড়যন্ত্র করে লাভ নেই, আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিন।
আলোচনা সভায় কয়েকটি দলের নেতারা বলেন, ফারাক্কার পানির ন্যায্যা হিস্যা আদায়ে বর্তমান সরকারসহ অতীতের সরকারগুলোও উদাসীন ও নতজানু ছিল। ফারাক্কার পানি ঠিকমতো না পাওয়ায় ইতোমধ্যে ছোটবড় ২৩টি নদী শুকিয়ে গেছে, বাংলাদেশ তিলে-তিলে শেষ হয়ে যাচ্ছে। অথচ সেদিকে ক্ষমতাসীনদের ভ্রুক্ষেপ নেই। ক্ষমতার লোভে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিচ্ছে।
সভাপতির বক্তব্যে ন্যাপ-ভাসানীর চেয়ারম্যান শেখ আনোয়ারুল হক বলেন, ফারাক্কাসহ অভিন্ন নদীর পানি সমস্যার সমাধান না করে পদ্মা সেতু করে লাভ কী! এনডিপি’র চেয়ারম্যান আলমগীর মজুমদার বলেন, ভারতের সংশ্লিষ্টরা কিছুদিন পরপর বাংলাদেশে এসে ইলিশ খেয়ে চলে যান; কিন্তু ফারাক্কা, তিস্তা ও গঙ্গা নিয়ে কথা হয় না। পানি সমস্যার বিষয়টি আন্তর্জাতিক আদালতে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি। এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- এনপিপি মহাসচিব আবদুল হাই ম্লল, বাংলাদেশ ন্যাশনাল কংগ্রেসের মহাসচিব ছাবের আহাম্মদ ছাব্বীর, আলতাফ হোসেন মুন্না, মমতাজ চৌধুরী ও মিজানুর রহমান প্রমুখ।